টিটেনাস রোগকে যাকে বাংলায় ধনুষ্টংকার বলে। শরীরের পেছনের মাংসপেশিগুলো সংকুচিত হতে পারে না। যার ফলে পুরো শরীর ধনুকের মত বেকে যায়। যার কারণে এই রোগকে বাংলায় ধনুষ্টংকার বলে।
টিটেনাস হয় Clostridium tetani নামক bacteria দিয়ে, যেটা থাকে soil, dust, saliva, মরিচা পড়া লোহায় এবং মাটি আবর্জনা ও নোংরা স্থানে । মরিচা পড়া লোহায় মরিচার সাথে অনেক জীবাণু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই ব্যাকটেরিয়ার স্পোর যখন কোন পেরেক, টিন, লোহা বা ওই জাতীয় কোন কিছুর মধ্যে লেগে থাকে আর সেই বস্তুটি যদি আমাদের চামড়া ভেদ করে শরীরের মাংসপেশি তে প্রবেশ করে, তখন এই স্পোরগুলোর মাধ্যমে এই Clostridium tetani ব্যাকটেরিয়ার বংশ বিস্তার ঘটে।
এই বংশবিস্তারের মাধ্যমে একপ্রকার নিউরোটক্সিন তৈরি হয়। যার নাম “tetanospasmin”। এই নিউরোটক্সিন দেহে মোটর নিউরন তৈরি করে। যা স্নায়ুতন্ত্রের একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। যার মাধ্যমে পেশীর স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণক অকেজো হয়ে যায়।
এজন্য যখনই কোন cut injury হয় তখন টিটেনাস টিকার দেওয়া হয়।
যখন সংক্রমণ বেড়ে যায় তখন, পেশি খিচুনী দেখা দেয়। যা ক্রমশ চোয়ালেও দেখা দেয়। তাই এই রোগটির অন্যতম নাম হলো “দাঁতকপাটি”।
এ রোগের আরো কয়েকটি লক্ষণ হলোঃ
১) পেশির অনমনীয়তা।
২) খাদ্য গিলে খেতে অসুবিধা হয়।
৩) দেহের বিভিন্ন অংশে খিচুনী দেখা দেয়।
মূলত এইসব সমস্যা যেন না হয়, সেই কারণে এই টিটেনাস টিকা নেওয়া হয়। যাতে পরবর্তীতে কোনো বড় সমস্যা না হয়। এটি সেই ব্যাকটেরিয়াকে বংশবিস্তার করা থেকে প্রতিরোধ করে।
Source:
https://pathokia.com/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%9F/