রোগের প্রাদুর্ভাব ভাল ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকটি ব্যাপারে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, যেমন, কেস ম্যানেজমেন্ট, নজরদারী, ভাল ল্যাবরেটারি, মৃত রোগীর ঠিকমতো সত্কার এবং অবশ্যই সামাজিক সচেতনতা। ইবোলা সংক্রমণের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুললে এবং প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে মানুষের মাধ্যমে এই রোগের ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে নিচের কয়েকটি বিষয়ের ওপরে আলোকপাত করা উচিত।
প্রাণী থেকে সংক্রমণ সম্ভাবনা কমানো – সংক্রমিত বাদুড় অথবা বাঁদর এবং তাদের মাংস এড়িয়ে চলতে হবে। প্রাণীদের সংস্পর্শে আসতে হলে হাতে গ্লাভস্ এবং যথাযথ প্রতিরক্ষামূলক পরিধেয় দরকার। মাংস খাওয়ার সময় খুব ভাল করে ফুটিয়ে রান্না করতে হবে।
মানুষের থেকে মানুষে সংক্রমণ কমানো – ইবোলা উপসর্গে আক্রান্ত মানুষ, বিশেষ করে তাঁদের শরীর নিঃসৃত কোনও তরলের সরাসরি বা আংশিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। হাতে গ্লাভস ও পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা নিয়ে বাড়িতে এই রোগে অসুস্থ রোগীর সেবা করা উচিত। হাসপাতালে রোগী দেখে আসার পরে, কিংবা বাড়িতেও রোগীর সেবা যত্নের পরে ভাল করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রাদুর্ভাব এড়াতে ব্যবস্থা – রোগটির প্রাদুর্ভাব এড়াতে মৃত রোগীর দ্রুত সত্কার করে ফেলতে হবে। এমন লোক খুঁজে বের করা দরকার যিনি কোনও ইবোলা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন। পাওয়া গেলে তাঁকে ২১ দিন ধরে নজরে রাখুন। সুস্থ মানুষকে অসুস্থ রোগীর থেকে আলাদা করে রাখা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রেখে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য পরিসেবায় সংক্রমণ প্রতিরোধ – স্বাস্থ্য পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা বিশেষ ভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেবেন। প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি হাত ও শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত সতর্কতাও তাঁরা নেবেন। ইঞ্জেকশন দেবার সময়েও তাঁরা সতর্ক থাকবেন। কোনও সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত ভাবে ইবোলা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সেবা করার সময় তাঁদের রক্ত ও রক্তমাখা শারীরিক তরল, ব্বহৃত জামাকাপড় ও বিছানা থেকে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। ১ মিটার দূরত্বের মধ্যে থেকে কাজ করতে হলেও মেডিক্যাল মাস্ক পড়া দরকার। ল্যাবরেটারি থেকে নমুনা নেবার সময়েও কোনও প্রশিক্ষিত নার্স উপযুক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যথাযথ যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করবেন।