ইবোলা ভাইরাসের বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে। যতটুকু জানা গেছে তাতে মনে করা হয় টেরোপোডিডা পরিবারভুক্ত বাদুর এই ভাইরাসের ন্যাচারাল হোস্ট। মানুষের শরীরে রক্ত, কোনও ক্ষরণ, শিম্পাঞ্জি, গরিলা, বাদুর, বাঁদর, সজারুর মতো সংক্রমিত প্রাণীর অঙ্গ বা শরীরের কোনও ক্ষরণ থেকে প্রাথমিক সংক্রমণ ঘটতে পারে। আক্রান্ত একজন মানুষের সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা রক্ত ও ক্ষরণের মাধ্যমে রোগটি অন্য মানুষে ছড়ায়। এই কারণেই সন্দেহজনক বা নিশ্চিত ভাবে ইবোলা আক্রান্ত রোগীর চিকিত্সায় যুক্ত স্বাস্থ্য পরিসেবার কর্মীরা দ্রুত আক্রান্ত হন। ইবোলা আক্রান্ত মৃত রোগীর সত্কারের অংশ নিয়েছে এমন মানুষরাও আক্রান্ত হয়ে রোগ ছড়ানোর মাধ্যম হয়ে উঠতে পারেন। আক্রান্ত মানুষটি ততদিন ছোঁয়াচে থাকেন যতদিন তাঁর রক্ত, সিমেন ও বুকের দুধ-সহ শরীরের বিভিন্ন রসে ইবোলার অস্তিত্ত্ব থাকে। সুতরাং রোগ থেকে সেরে উঠেও কোনও মানুষ অন্তত ৭ সপ্তাহ তার সিমেনের মাধ্যমে অন্য মানুষে এই ভাইরাস ছড়াতে পারেন।