ল্যাথিরিজম Lathyrus-এর কয়েকটি প্রজাতির বিশেষত L. sativus (খেসারি ডাল), L. cicera (ভেচ) এবং L. clymenum (স্পেনীয় ভেচ) বীজ খাদ্য হিসেবে দীর্ঘকাল ব্যবহার করার ফলে উদ্ভূত এক রোগ।
বাংলাদেশ, ভারত ও আলজেরিয়ার বহু লোক এবং ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশের কিছু লোক এসব ডাল খেয়ে থাকে। এই ব্যাধির প্রকোপ মানুষ ছাড়াও ঘোড়া ও গবাদি পশুর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
ভাবপ্রকাশ নামের প্রাচীন এক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, ‘খেসারি ডাল খেলে মানুষ খোঁড়া হয়ে যায় এবং এতে স্নায়ুর পঙ্গুতা ও প্রদাহ দেখা দেয়।’ হিপোক্রেটিস (আনুমানিক ৪০০ খ্রি.পূ.) উলেখ করেছেন, কোন কোন ডাল মানুষের জন্য বিষাক্ত। সপ্তদশ শতকে উটেনবার্গে খেসারি ডাল খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। ১৮৭৩ সালে ইতালিতে কানতানি এই রোগের নামকরণ করেন ল্যাথিরিজম। ১৮৩৩ সালে ভারতে এক জরিপে দেখা যায় সেসব গ্রামে স্নায়বিক ল্যাথিরিজম রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে, সেখানে খেসারি ডাল সমাজের দরিদ্র শ্রেণির, বিশেষত দুর্ভিক্ষের সময় তাদের প্রধান খাদ্য হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে কিছু কিছু গবেষক বিষয়টি সময় সময় নথিভুক্ত করেছেন। দেখা গেছে মাঝে মধ্যে এই ডাল ব্যবহারে তেমন ক্ষতি হয় না।