চঞ্চলতা যে কোনও শিশুর সাধারণ বৈশিষ্ট্য। শিশুরা যখন-তখন হাসবে, খেলবে, দুষ্টুমি করবে, হইচই করবে, সমবয়সী ও সহোদরদের সঙ্গে ঝগড়া করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে ভাবনার বিষয় হলো যদি শিশুর এই চঞ্চলতা মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছায় এবং তার কারণে শিশুর দৈনন্দিন জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে।কিছু শিশুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চঞ্চলতা এক এক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তারা কোনো কাজই ঠিক ভাবে করতে পারেনা। লেখা বা আঁকা বা পড়া বা খেলা যে কোনো বিষয়েই অস্থিরতা চরম মাত্রায় পৌঁছায় , ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত চঞ্চলতার ফলে বারবার দুর্ঘটনার শিকার হতে থাকে। বিশেষত এই ধরণের শিশুরা এক স্থানে বেশিক্ষণ বসতে বা দাঁড়াতে পারেনা।এই শিশুরা শুধু শারীরিকভাবেই চঞ্চল নয়, তাদের মস্তিস্কও একইরকম কর্মব্যস্ত থাকে। তাদের চিন্তাধারার কোনো সুনির্দিষ্ট দিকে স্থির থাকে না- এই এখন এদিকে মন, পরক্ষণেই অন্য কিছু নিয়ে ভাবনা।তার প্রতিফলন তাদের প্রতিটি কাজে লক্ষ্য করা যায়। ইদানিংকালে শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুরভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই রোগকে বিশেষজ্ঞরা ADHD - Attention Deficit Hyperactivity Disorder বা মনোযোগ ঘাটতির ব্যাধি বলে চিহ্নিত করেছেন।
ADHD সাধারণ মানসিক ব্যাধিগুলোর একটি। এটি মস্তিষ্কের মনোযোগ-সংক্রান্ত এক অসুস্থতা। Attention Deficit মানে মনোযোগের অভাব, আর hyperactivity মানে অতি চাঞ্চল্য। এডিএইচডি মূলত শিশুদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়, তবে শিশুদের ছাড়াও অনেক প্রাপ্তবয়স্কের এই ব্যাধি প্রভাবিত করে।