প্রকৃতির একটি আকর্ষণীয় জিনিস হলো এই ফুল। প্রকৃতিতে এই নানান রঙের আর নানান ঘ্রাণের ফুল ফোটার উদ্দেশ্যই হলো কীটপতঙ্গদের আকর্ষণ করা। কারণ এদের সাহায্য ছাড়া যে ফল পাওয়া সম্ভব নয়। আর ফল না হলে উদ্ভিদের বংশগতিতে বাধা আসবে। কীটপতঙ্গ উদ্ভিদের জন্য যে কী করে তা তারা নিজেরাই জানে না। ফুলে ফুলে মধু খেতে গিয়ে কীটপতঙ্গ নিজেদের অজান্তেই ফুলের পরাগ সংযোগ ঘটিয়ে দেয়। ফলে পরাগায়ন হয়ে যায়। যেটা ফল উৎপাদনে খুবই দরকারি। যেহেতু একই রঙ সব জাতের কীটপতঙ্গকে আকর্ষণ করে না, তাই ফুলকেও অসংখ্য রঙ নিতে হয়। ফুলকে রঙিন হতে হয়। ফুল কেন রঙিন হয়? আমরা দিনে-রাতে আমাদের চারপাশে নানান রঙের নানান গন্ধের ফুল দেখতে পাই। কেন এ ভিন্নতা?
ফুলের পাপড়ির বৈচিত্র্যপূর্ণ রং প্রধানত আন্থোসায়ানিন, বিটাসায়ানিন জাতীয় রঞ্জকের উপর নির্ভরশীল। আস্থোসায়ানিন হল কতকগুলি জটিল যৌগের সমষ্টিগত নাম। এটি গ্লাইকোসাইড হিসাবে কোশরসে মিশে থাকে। কোশরসের হাইড্রোজেন আয়নের গাঢ়ত্ব অর্থাৎ pH-এর তারতম্য ঘটলে তবেই রং-এর তারতম্য ঘটে।
কোশরসের pH ক্ষারীয় প্রকৃতির হলে ফুলের রং নীল হয়।
pH অ্যাসিড প্রকৃতির হলে রং লাল হয়।
যখন কোশরসের pH প্রশমিত (নিউট্রাল) হয় তখন রং বেগুনী বা কালচে নীল হয়।