বর্তমান সময়ে, বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মধ্যে কোমল পানীয় পান করতে পছন্দ করে না, এমন মানুষ পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। যদিও সফট ড্রিংকস পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তারপরও এর কিছু হলেও উপকারিতা আছে। তার মধ্যে একটি হলো পেটে গ্যাস হলে সেটা থেকে মুক্তি লাভ।
অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা ভারী খাবার খেলে আমাদের পেটে গ্যাস হয়ে অস্বস্তিবোধ হয়। তখন এক গ্লাস কোক খেয়ে নিলেই গ্যাস বের হয়ে গিয়ে আবার স্বাভাবিক লাগতে শুরু করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেনো এমন হয়?
কোক, স্প্রাইট বা এমন যেকোনো সফট্ ড্রিংকসে উচ্চ চাপে গ্যাসীয় কার্বন ডাইঅক্সাইড দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এ পানীয় গুলো যখন পান করা হয় তখন লিকুইড এর সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস বাবলও আমাদের পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। যখন পানীয়টি পাকস্থলীতে পৌঁছায়, তখন এতে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। ফলে পাকস্থলীর এসোফেগাসে গ্যাসের চাপ বেড়ে যায় এবং পূর্বে ফর্ম হওয়া গ্যাসসহ কার্বন ডাইঅক্সাইড ঢেঁকুর হিসেবে বাইরে বেরিয়ে আসে।
তবে এ পদ্ধতিতে কেবল মাত্র সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায়। আবার অনেকে তাড়াতাড়ি স্বস্তি লাভের আশায় অতিরিক্ত ড্রিংকস পান করে ফেলে, যার ফলে পেটে অনেক বেশি গ্যাস হয়ে আরো খারাপ লাগতে শুরু করে। এছাড়া নানা রকম শারীরিক সমস্যা যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, দাতের সমস্যা ইত্যাদি তো আছেই। এমনকি নিয়মিত কোমল পানীয় পান করলে স্থায়ীভাবে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তাই গ্যাসের সমস্যা হলে যেকোনো ভালো গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেওয়াই উত্তম।
সোর্স:
• newslivetv.com
• quora.com
• menshealth.com