মাউসটি উল্টালে দেখবেন যে লাইটের সামনেই নিচের দিকে মুখ করে একটি ক্যামেরার মতো একটি লেন্স রয়েছে। লেন্সের অপর পাশে মানে ভেতরে একটি ফটোসেল সেন্সর রয়েছে। ওই ফটোসেল সেন্সরটি আলোর পরিবর্তন ডিটেক্ট করতে পারে।
আপনি মাউসটি টেবিলে রাখলে সাভাবিকভাবেই মাউসের নিচে অন্ধকার হয়ে যায়, তাই তার জন্য আলাদা আলোর ব্যবস্থা কারা হয়ে থাকে একটি এলইডি দ্বারা। লাইটটি এমন এঙ্গেলে আলো ফেলে যাতে আপনি যখন টেবিল সারফেসে মাউসটি রাখবেন, আলোটি টেবিল সারফেস থেকে রিফ্লেক্ট করে ঠিক ওই লেন্সে তার সর্বােচ্চ ইন্টেনসিটিতে হিট করবে। সেন্সরের সামনে থাকা লেন্সটি আলোকে ম্যাগনিফাই করে দেয়, ফলে টেবিলের উপর সামান্য নড়াচাড়াতেই আলোর রিফ্লেকশনের পরিবর্তন ফটোসেল সেন্সরটি ধরতে পারে। পরিবর্তনের দিক ক্যালকুলেশন করে সেটি মাউস কার্সররের স্থান পরিবর্তনের সংকেত পাঠায়।
কিছু মাউস পাবেন যার তলায় একই ব্যবস্থা থাকলেও লাইট জ্বলতে দেখা যায় না।
আসলে সেখানেও লাইট রয়েছে, তবে তা সাধারনত ইনফ্রারেড লাইট যা মানুষের চোখে ধরা পরে না, কিন্তু সেন্সর ঠিকই দেখতে পায়।
আপনি দেখতে চাইলে মাউস উল্টে মোবাইলে ফোনের ক্যামেরা অন করে তার উপর ধরে নেড়েচেরে দেখতে পাবেন যে সেটা ঠিকই জ্বলছে। একইভাবে চাইলে টিভি রিমোটের লাইটও দেখতে পারেন।