আদৌ কী টাইমমেশিন তৈরি অথবা টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
648 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (4,010 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (510 পয়েন্ট)
টাইম ট্রাভেল কখনোই সম্ভব না। এটা শুধু মাত্র থিউরি বা সিনেমা জগতে প্রযোজ্য। বাস্তবে এর প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে যেগুলো আমাদের বিজ্ঞান পূরণ করতে সক্ষম না। তাই টাইম ট্রাভেল বাস্তবে সম্ভব না।
0 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (8,580 পয়েন্ট)

হ্যাঁ। তত্ত্বীয়ভাবে মানুষ সময় যাত্রা করতে পারবে।

ভবিষ্যৎ যাত্রা:

      প্রথমেই আসি ভবিষ্যৎ ভ্রমণে। ভবিষ্যতে যাওয়ার বিষয়টি ঘটে টাইম    ডাইলেশন বা সময়ের প্রসারণের মাধ্যমে। বিষয়টা কেমন তা বোঝা যাক-

          সময় আপেক্ষিক। এটা দ্রুত কিংবা ধীরও হয়ে যেতে পারে। কোনো স্থানে ভর যত বেশি সেখানে মহাকর্ষ তত শক্তিশালী। আর কোথাও মহাকর্ষ যত শক্তিশালী হবে, সেখানে স্পেস বা স্থানের বক্রতাও তত বেশি হবে। আর  স্পেসের বক্রতা যত বেশি সেখানকার সময়ও তত ধীর। এখানে সময় ধীর মানে সেখানে থাকা সকল বস্তুর সময়ই ধীর। যেমন: প্রবল মহাকর্ষ আছে এমন একটা গ্রহে স্পেসের বক্রতা বেশি হওয়ায় সময় অনেক ধীর হবে। ফলে সেখানে ঘড়ি, দৌড়ের গতি এমনকি মানুষের শারীরবৃত্তিয় সকল ক্রিয়াই ধীর হয়ে যাবে। সেই সাথে আপনার বয়সও ধীরে ধীরে বাড়বে। ফলে আপনি সেখানে থেকে বুঝতেও পারবেন না যে আপনার সময় ধীর হয়ে গিয়েছে। কারণ আপনার সময় যে ধীর তা বোঝার মতো এমন কোনো প্রসঙ্গ কাঠামো নেই যার তুলনায় আপনি যে ধীর তা বুঝতে পারবেন। এককথায় স্পেসের বক্রতা বেশি হলে সময় ধীর হয়ে যায়।

          এখন আরেকটা জিনিস কল্পনা কর। ধরে নাও তুমি X নামে একটা গ্রহে যাবে যার ভর পৃথিবীর তুলনায় ৫ গুণ বেশি হওয়ায় সেখানে মহাকর্ষও পৃথিবীর তুলনায় ৫ গুণ বেশি শক্তিশালী। ফলে সেখানে স্পেসের বক্রতাও পৃথিবীর তুলনায় ৫ গুণ বেশি। এতে করে যা হবে তা হলো- কল্পিত X গ্রহে সময় পৃথিবীর তুলনায় ৫ গুণ বেশি ধীর। বিপরীতভাবে বললে পৃথিবীতে সময় X গ্রহের তুলনায় ৫ গুণ ফাস্ট বা দ্রুত। এখন মনে কর তুমি ২০২২ সালে পৃথিবী ছেড়ে X চলে গেলে এবং X গ্রহে ২০ বছর কাটালে। ২০ বছর পর তুমি পৃথিবীতে ফিরলে তোমার হিসেবে পৃথিবীতেও ২০ বছর পার হওয়ার কথা। কিন্তু পৃথিবীতে ফিরে আপনি দেখবেন পৃথিবীতে (২০×৫) বা, ১০০ বছর পার হয়ে গিয়েছে। কারণ পৃথিবীর সময় X গ্রহের তুলনায় ৫গুণ ফাস্ট বা দ্রুত বলে X গ্রহের ২০ বছর পৃথিবীর ১০০ বছরের সমান। তার মানে ২০ বছর পর ফিরে এসে আপনার হিসেবে যেখানে ২০৪২ সাল হওয়ার কথা সেখানে পৃথিবীতে ২১২২ সাল হয়ে গিয়েছে। তার মানে আপনি ৮০ বছর সামনে বা ভবিষ্যতে চলে এসেছেন।

          এবার আরেকভাবে ভবিষ্যৎ ভ্রমণের কথা বলব। আমরা যখন উচ্চ গতিতে চলি কিংবা কোনো উচ্চ গতির যানে চড়ি, তখন আমাদের আপেক্ষিক ভর বেড়ে যায়। আর আগেই তো বলেছি, ভর বাড়লে স্পেসের বক্রতা বেশি হবে। আর স্পেসের বক্রতা যত বেশি সময়ও তত ধীর। ফলে আপনার উচ্চ গতির কারণে তোমার সময়ও ধীর হয়ে যাবে। এই বিষয়টা তখনও ঘটে যখন আপনি ট্রেন, বাস বা কোনো উচ্চ গতির যানবাহনে চড়েন। যদিও এক্ষেত্রে আপনার সময়ের ধীর হওয়ার পরিমাণ খুবই কম, তবুও আপনার সময় ধীর হবেই। কিন্তু কই আমরা তো ট্রেনে চড়ার পর ভবিষ্যতে চলে যাইনা। আসলে ট্রেনের গতি অতটাও বেশি নয়, যতটা হলে আপনি টাইম ডাইলেশন অনুভব করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি আলোর গতির ৯৯.৯৪% গতিতে মহাকাশযাত্রা করেন, তবে ১০ বছর পর পৃথিবীতে ফিরে আসলে আপনার হিসাবে ১০ বছর পার হওয়ার কথা থাকলেও পৃথিবীতে ২৯ বছর পেরিয়ে যাবে। মানে ৯ বছর ভবিষ্যতে চলে আসলেন।

অতীত যাত্রা:

      এবার আসি অতীত ভ্রমনের বিষয়ে। এখন পর্যন্ত গবেষণা অনুযায়ী অতীত ভ্রমণ প্রায় অসম্ভব। তবে কিছু বিজ্ঞানী অতীতে যাওয়া নিয়ে কিছু আইডিয়া বা অনুমান প্রদান করেছেন। তবে বাস্তবে এগুলোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাহলে কি অতীতে যাওয়া সম্ভব নয়? সম্ভব, তবে অতীতে যাওয়া নয়, অতীত দেখা।

          আপনি যে স্থানের অতীত দেখবেন সেই স্থান হতে যথেষ্ট দূরে যেতে পারলে আপনি সেখানকার অতীত দেখতে পাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আলো ১ সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কি.মি. যায়। তাই আপনি যদি পৃথিবী থেকে ৩ লক্ষ কি.মি. দূরে যান তবে পৃথিবী থেকে সেখানে আলো প্রায় ১ সেকেন্ড পরে পৌঁছাবে। ফলে আপনি ১ সেকেন্ড অতীতের পৃথিবীকে দেখবেন। আবার সূর্য থেকে যেহেতু পৃথিবীতে আলো আসতে ৮ মিনিট প্রয়োজন তাই আপনি পৃথিবী থেকে ৮ মিনিট পূর্বের সূর্যকে দেখছেন। একইভাবে আপনি যদি পৃথিবী থেকে ৯.৪৫ ট্রিলিয়ন কি.মি. দূরে যেতে পারেন এবং সেখান থেকে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে পৃথিবীকে দেখতে পারেন, তবে আপনি পৃথিবীর ১ বছর আগের অতীত দেখতে পাবেন। এই পদ্ধেতিতেই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ১৩৫০ কোটি বছর পূর্বের ছবি তুলতে পেরেছে।

     আর এভাবেই আমরা ভবিষ্যতে যেতে পারি কিংবা অতীত দেখতে পারি।

তবে টাইম মেশিন তৈরি করা সম্ভব কি না তা নিশ্চত নয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 446 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,755 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 284 বার দেখা হয়েছে
03 জানুয়ারি 2023 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ahsanul Islam Badhon (130 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 395 বার দেখা হয়েছে
08 জুলাই 2022 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rakib Ahmed (520 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,618 জন সদস্য

67 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 64 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. AlfonsoBusey

    100 পয়েন্ট

  5. hb88vip4com

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...