রক্তচাপ বলতে বোঝায় ধমনী-প্রাচীরের ওপর রক্তের চাপ। রক্তচাপ পরিমাপ করার পর দুটি সংখ্যা ফলাফল হিসেবে দেখা যায়। প্রথমটাকে বলে Systolic Blood Pressure, যা হৃদস্পন্দনের মুহূর্তে ধমনীর ওপর রক্তের প্রযুক্ত বল নির্দেশ করে। দ্বিতীয় ও ক্ষুদ্র সংখ্যাটি দুটি স্পন্দনের মধ্যকার সময়ে হৃদপিণ্ড যখন স্থিরাবস্থায় থাকে, তখনকার রক্তচাপ; যার নাম Diastolic Blood Pressure। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, রক্তচাপ প্রকাশিত হয় mm Hg- এই এককের সাহায্যে। পর্যায় সারণিতে Hg অর্থ পারদ। সুতরাং, 120 mm Hg এর মানে যে চাপ প্রয়োগ করলে ব্যারোমিটারে পারদ ১২০ মি.মি. উচ্চতায় পৌঁছুয়, তার হিসাব।
উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ এর মধ্যে পার্থক্য কী?
কোনো ব্যক্তির রক্তচাপ বেশি থাকার অর্থ হৃৎপিণ্ড রক্ত সরবরাহ করার জন্য অতিরিক্ত স্পন্দন করছে, এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিউর ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। নিম্ন রক্তচাপ খুব একটা প্রভাব ফেলে না, কিন্তু মাঝেমধ্যে মাথা ঘোরা ও ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের কারণসমূহ
স্থূলতা
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করা
অতিরিক্ত লবণ সেবন
ধূমপান
ডায়াবেটিস
জেনেটিক্স
স্ট্রেস
বয়স বৃদ্ধি
নিম্ন রক্তচাপের কারণসমূহ
রক্ত প্রবাহে সংক্রমণ
ডায়াবেটিস
থাইরয়েড
চোটের কারণে রক্তের পরিমাণ হ্রাস
পানিশূন্যতার কারণে দুর্বলতা এবং
গর্ভাবস্থা
উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
ঘুমে সমস্যা
দুশ্চিন্তা
নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ
অস্থিরতা
ঝাপসা দৃষ্টি
মনোযোগের অভাব
ক্লান্তি
বিষণ্ণতা
বমি বমি ভাব
ফ্যাকাশে চামড়া
শ্বাসকষ্ট