স্যাকারিন কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
2,028 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

স্যাকারিন- এই স্যাকারিন শব্দটি শুনেনি, এমন মানুষ খুব কমই আছে। রাসায়নিক গঠনানুসারে স্যাকারিনের নাম-
"anhydroorthosulphaminebenzoic acid". কিন্তু এমন নাম উচ্চারণ করা আর হাতুড়ি দিয়ে  দাঁত ভাংগা একই কথা।  তাই এর আবিষ্কারক এর নামকরণ করেন Saccharin যা এসেছে Saccharine (চিনির মতো) থেকে। Saccharine এসেছে ল্যাটিন শব্দ Saccharon থেকে যার অর্থ হলো চিনি। কিন্তু Saccharon আবার এসেছে সংস্কৃত শব্দ শর্করা থেকে। ইন্টারেস্টিং তাইনা?!
 

তবে এর থেকেও বেশি মজার কাহিনী হলো এর আবিষ্কার এর কাহিনী।
 

আবিষ্কারঃ
১৮৭৮-৭৯ সালের দিলে জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির এক ছোট- খাটো গবেষণাগারে  প্রথম উদ্ভাবন করা হয় কৃত্রিম এ মিষ্টিকারক পদার্থটির। ইরা রেমসেন নামে রসায়নের এক প্রফেসরের তত্ত্বাবধানেই চলতো গবেষণাগারের কাজ। তাঁরই গবেষণাগারে  যোগ দেন  ফাহ্লবার্গ।
তো ফাহ্লবার্গ  নিজের গবেষণায় এতোটাই মগ্ন থাকতেন যে খাওয়ার কথাও ভুলে যেতেন। তো আবিষ্কারের দিন,  তিনি গবেষণা শেষে হাত না ধুয়েই খেতে বসেছিলেন। আর অত্যন্ত মিষ্টি একটি স্বাদ পেলেন, ফাহ্লবার্গ  কিন্তু মিষ্টি একদমই পছন্দ করতেন না। তো তার খাবারে  মিষ্টি ব্যবহার করায় তিনি বেজায় চটে গেলেন, রাগারাগি শুরু করলেন। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি তাঁর ভুল বুঝতে  পারলেন যে মিষ্টি টা আসলে খাবারে নয়, তাঁর হাত না ধুয়ে খাওয়ার ফলে হয়েছে। কিন্তু কি এমন যৌগের কারণে  এতো মিষ্টতা হলো?
 

স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ ছিলো তার। তাই ঠিক কোন রাসায়নিক পদার্থটি হাতে লাগার দরুন এ মিষ্টতার উদ্ভব হয়েছে, তা তিনি ঠিক নিশ্চিত ছিলেন না। তাই তিনি আবার  গবেষণাগারে গিয়ে আবার তার শেষ পরীক্ষার পদার্থ  চেখে দেখলেন।

সালফোবেঞ্জয়িক এসিড, ফসফরাস ক্লোরাইড আর অ্যামোনিয়ার এক মিশ্রণ থেকেই তিনি পেয়েছিলেন সেই কড়া মিষ্টি স্বাদ। সেইদিনই তিনি এই মিশ্রণগুলো জ্বালিয়ে তৈরি করেছিলেন বেঞ্জয়িক সালফাইনাইড।


স্যাকারিনের গবেষণাপত্রঃ
এরপর আর দেরি করলেন না ফাহ্লবার্গ।
তার গবেষণা সুপারভাইজার অধ্যাপক রেমসেনের সাথে একটি সায়েন্টিফিক পেপার লিখলেন। ১৮৭৯ সালে প্রকাশিত সেই পেপারে তাদের দুজনকেই স্যাকারিনের উদ্ভাবক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিলো। ১৮৮৬ সালে করা স্যাকারিনের পেটেন্টে নিজেকেই এর একমাত্র আবিষ্কারক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। আর এটা নিয়েই ফাহ্লবার্গের সাথে রেমসেনের গন্ডগোল শুরু হয়। ফাহ্লবার্গের কাজটি মূলত রেমসেনের গবেষণাগারেই হওয়ায় রেমসেন চেয়েছিলেন এর সহ-উদ্ভাবক হিসেবে অন্তত তার নামটি থাকুক। অন্যদিকে ফাহ্লবার্গের বক্তব্য ছিলো যে, এর আগেও তিনি সালফোবেঞ্জয়িক এসিড নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন। তাই উদ্ভাবনের কৃতিত্ব মূলত তারই।
 

স্যাকারিনের ব্যবহারঃ চিনির চেয়ে প্রায় ৪০০ গুণ বেশি মিষ্টি স্যাকারিন তৈরী হয় আলকাতরা থেকে প্রাপ্ত উলুইন নামক পদার্থ থেকে। কার্বোহাইড্রেটবিহীন খাদ্যদ্রব্য ও কোমল পানীয়ের মিষ্টিকারক হিসেবে ব্যবহার করা হয় স্যাকারিন।  এছাড়া বেকারিতে প্রস্তুত খাদ্যসামগ্রী, ক্যান্ডি, সালাদ ইত্যাদিতে  বর্তমানে স্যাকারিন ব্যবহার করা হয়৷

ক্রেডিট : মিথিলা ফারজানা মেলোডি | ক্যাম্পাস এম্বাসেডর, সায়েন্স বী

0 টি ভোট
করেছেন (670 পয়েন্ট)
স্যাকারিন হলো একধরণের রাসায়নিক যৌগ।যা চিনি থেকে ৩০০-৫০০ গুণ মিষ্টি।এর রাসায়নিক নাম " বেনজো সালফিমাইড।"এর মধ্যে কোন খাদ্যশক্তি নেই। এটা হলো কৃত্রিম মিষ্টি যা নানারকম পানীয়,চকোলেট ইত্যাদিতে মিশিয়ে মিষ্টি করা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 373 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 245 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 656 বার দেখা হয়েছে
11 ফেব্রুয়ারি 2023 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Meherun jahan (420 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 264 বার দেখা হয়েছে
03 অক্টোবর 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন NAYEM MOLLAH (1,540 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 745 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

264,941 জন সদস্য

40 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 40 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    120 পয়েন্ট

  2. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  3. ae888zahkunst

    100 পয়েন্ট

  4. LQVOma44366

    100 পয়েন্ট

  5. Elaine08D00

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...