কোনো তথ্য যদি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ হয়ে থাকে, তবে তার কোনো মূল্য থাকে না। তথ্য যথার্থতা লাভ করে আদান-প্রদান এর মাধ্যমে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। যেকোনো যন্ত্র (যেমন- কম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদি ) এর মাধ্যমে তথ্যকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া হচ্ছে তথ্য যোগাযোগ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াকে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য হতে হবে এবং তথ্য আদান-প্রদানের সময় যাতে এর কোনো ক্ষতি সাধন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
কখনো কখনো কোনো প্রযুক্তি একা যতটা না পরিবর্তন আনতে পারে, দুটো প্রযুক্তি মিলে এর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। এর সবচেয়ে উদাহরণ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একীভূতকরণ অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
১৫ বছর আগের কথা চিন্তা করো। যখন মোবাইল ফোনের কথা অনেকে চিন্তাও করতে পারতো না। তখন যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো চিঠি, রেডিও ইত্যাদি। তখনকার দিনে যোগাযোগ করতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হতো। এরপর চলে আসলো মোবাইল, টেলিভিশন, টেলিগ্রাফ, টেলিপ্রিন্টার, ফ্যাক্স ইত্যাদি। এইগুলো আসার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। তথ্য আদান প্রদানে এসেছে গতি। কিন্তু মানুষের তথ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। মানুষ এখন যখন যেখানে প্রয়োজন তখন সেখানে সঠিক তথ্য পেতে চায়। কিন্তু মানুষের এই চাহিদা পূরণ শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তথ্য প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযোজন এবং ক্রমাগত এর সীমাবর্ধন। সার্বিকভাবে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একীভূতকরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ অনুসারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে, “যেকোনো প্রকারের তথ্যের উৎপত্তি, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন এবং বিচ্ছুরণে ব্যবহৃত সকল ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি” কে বোঝায়। বিশ্বব্যাংক গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information & Communication Technology-ICT) সেক্টর উন্নয়ন কৌশলপত্র অনুসারে-
“ICT consists of hardware, software, networks and media for collection, storage, processing, transmission and presentation of information (Voice, data, text, images).”