এটি অস্বাভাবিক অযৌন জনন প্রক্রিয়া। যখন পানির অভাব দেখা দেয় তখন শৈবালে স্পোরগুলো ফ্ল্যাজেলা তৈরি করে না। চারপাশে একটা জেলাটিনের আবরণ তৈরি করে এবং অ্যাপ্লানোস্পোরে পরিণত হয়। আবৃত থাকা অবস্থাতেই কোষ বিভাজিত হতে থাকে। পানির সরবরাহ সাধারণ অবস্থায় ফিরে গেলে জেলাটিনের আবরণ গলে যায়। তখন প্রতিটা কোষ আলাদা হয়ে যায়। ফ্ল্যাজেলা তৈরী করে নতুন জুস্পোরে পরিণত হয়। একেই বলা হয় পামেলা দশা। পামেলা নামটা দেওয়ার কারণ হচ্ছে যে, Palmella নামের একটি শৈবাল এরকম ফ্ল্যাজেলা বিহীন কোষের চারপাশে জেলাটিনের আবরণ তৈরি করে। এ বৈশিষ্ট্য অন্য কোনো শৈবালে দেখা গেলেই সেটাকে পামেলা দশা বলা হয়।