পুষ্টির অভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি-১২-এর অভাবে ঘা হয়। এ ছাড়া কৃত্রিম চিনি দিয়ে তৈরি খাবার যেমন চকলেট, জুস, কোক, চুইংগাম ইত্যাদি। আঘাতের কারণে ক্ষত হলে, সেটা ছোট শারীরিক ক্ষত কিংবা রাসায়নিকভাবে ক্ষত যাই হোক। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া কেমোথেরাপি, ঐওঠ ইত্যাদি। বারবার মুখের ঘায়ের পেছনে প্রধান কারণ খারাপ মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি। মুখে ক্যানসার হলে যেমন তামাক (সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি) সেবন করার কারণে স্কুয়ামাস সেল কারসিনোমা নামে হয়। পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক রসের (HCl) বিরূপ প্রভাবের কারণে মুখে বারবার ঘা দেখা দেয়। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রায়ই মুখে ক্ষত তৈরি করে, যদি ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সের সঙ্গে সহযোগী খাবার হিসেবে না দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট কিছু টুথপেস্ট, মাউথ ওয়াশ ইত্যাদিতে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। মানসিক চাপ অনেক সময়ই মুখের ঘা বৃদ্ধি করে (Psychosomatic)। বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে, এটা মূলত ইনহেলার ও উচ্চমাত্রার অক্সিজেন ব্যবহারের জন্যও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ভিটামিন-বি সাপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকেন রোগীদের।