মশার আয়ু :
এডিস মশকীর আয়ুষ্কাল দেড় থেকে তিন সপ্তাহ। গড়- ২ সপ্তাহ বা ১৪ দিন। বাকী মশারা মোটামুটি ৭ দিন বাঁচে। তবে মশা কতদিন বাঁচে এই প্রশ্নের উত্তর হুট করে দেওয়া যায় না। কারণ মশা একমাত্র প্রাণি যার নারীকূলের (মশকী) মৃত্যু বরাবরই আন-ন্যাচারাল ডেথ। চড় খেয়ে মারা যায়। ইলেক্ট্রিক ব্যাটে বিস্ফোরিত হয়ে মারা যায়। মশা কয়েলের ধোয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে। আমাদের অনেকের ধারণা আছে, মশা কয়েলে মারা যায়। ধারণা সঠিক নয়।
কয়েলের ধোঁয়াতে এত উচ্চমাত্রার বিষ নেই যে মশা মারা যাবে। বরং জ্ঞান হারিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে থাকে। অ্যারোসলে উচ্চমাত্রার কীটনাশক আছে। এক্ষেত্রে মশা মারা যায়। এজন্যই কয়েলের চেয়ে অ্যারোসল মানুষের জন্যও বেশি ক্ষতিকর। কয়েল থাকলে অ্যারোসল নয়, মশারি থাকলে কয়েল-অ্যারোসল দুটোই ব্যবহার করবে না।
এক্ষেত্রে ইলেকট্রিক ব্যাট ও ফ্যান ব্যাবহার করতে পারো। স্লিভলেস জামা পরিহার ও ট্রাউজার পাজামা পরিধান করতে পারেন।
এখনকার মশারা নিজেদের জেনেটিক মিউটেশন ঘটিয়ে ফেলেছে। প্রচলিত কয়েল কিংবা মশানিধনের ঔষুধ এদের গায়ে লাগে না। বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকে। এই মুহুর্তে করোনার প্রকোপ চলছে। আমার মতো যারা ঢাকাতেই আছেন তাদের জানিয়ে রাখি- জ্বর ব্যাথা হলেই হুট করে ধরে নিবেন না আপনার করোনা। বরং ভাবুন। হতে পারে ভাইরাল ফিভার, টাইফয়েড কিংবা ডেঙ্গু। কারণ ডেঙ্গুর সিজন অলরেডি শুরু হয়েছে। হাসপাতালে করোনার চেয়ে ডেঙ্গু রোগী বেশি ভর্তি আছে।
ক্রেডিট: ডা. রাজীব হোসাইন সরকার