"একমাত্র মানুষই পেরে অস্বাভাবিক ঘটনার জন্মদিতে"
অজাচার বলতে কিছু নিষিদ্ধ যৌন সম্পর্ককে বুঝায়। অর্থাৎ যে যৌন সম্পর্ক গুলো স্বাভাবিক নিয়মে চললে সমাজিক ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে সমাজ মনে করে সেই যৌন সম্পর্ক গুলোকে সমাজ নিষিদ্ধ করেছে। যেমন সন্তান /সন্তান তুল্য, ভাইবোন/তৎসমতুল্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমেও এই যৌন সম্পর্কগুলো নিষিদ্ধই রাখা হয়েছে। মনে রাখতে হবে সমাজ বা ধর্ম যেটাকে নিষিদ্ধ বলেছে সেটা মানুষের ব্যাক্তি জীবন ও সামাজিক জীবনের জন্য ক্ষতিকর বলেই করেছে, অতএব তা থেকে দুরে থাকাই শ্রেয়। যেমন ড্রাগ নেয়া নিষধ, সব সমাজেই নিষেধ কিন্তু এর পরেও সবসমাজেই কেউ না কেউ ড্রাগে আসক্ত, তেমনি পারিবারিক অজাচার সব সমাজেই নিষিদ্ধ তবুও সব সমাজেই কেউ না কেউ এই সম্পর্কে লিপ্ত।
এবার উদাহরনের পালা, আমাদের ভারতেই এরকম অহরহ খবর চোখে পরে যেখানে মদ্যপ পিতা/চাচা/সত বাবার যৌন লালসার শিকার হয়ে কিশোরী কন্যা গর্ভবতী হয়েছে। এরকম প্রায় ১০০ টা সংবাদ আমার চোখে পড়েছে। গুগলে সার্চ দিলে এখনই এমন শখানেক নিউজ ঠিকানা-পরিচয় সহ পাওয়া যাবে। চাক্ষুষ উদাহরনের মধ্যে একটা উল্লেখ করার মতো, তা হলো হরিয়ানার এক লরি চালকের সাথে আমার কর্মসূত্রে পরিচয় ছিলো। তার সাথে শীতের রাতে একবার লং জার্নি করার সুযোগ হয়েছিলো, ঠান্ডা বেশী বলে দুজনেই হালকা মদ্যপানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মদপানের এক পর্যায়ে তিনি বলেছিলান তার বিবাহিত মেয়ের কথা, যার ছয় বছরের বিবাহিত জীবনে সন্তান না হওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর শারিরীক-মানসিক নির্যাতন করতে থাকে যদিও ডাক্তারি পরীক্ষা মতে সমস্যা ছিলো মেয়ের জামাইয়ের। পরিশেষে যখন মেয়েকে পিতৃলয়ে পাঠানো হয় তখন মেয়ের সাথে পরামর্শ করেই তিনি নিজ কন্যার সাথে মিলিত হন। ব্যাপারটা এতোই গোপনীয় ছিলো যে একই ঘরে বাস করেও তার স্ত্রী অর্থাৎ মেয়ের মাও এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। তাদের এই সম্পর্ক প্রায় দেড় মাসের মতো স্থায়ী ছিলো। তার মেয়ে এখন একটা ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জননী এবং স্বামী সংসার করে খাচ্ছে।
আমার স্ত্রী একজন ডাক্তার, গাইনোকোলজিস্ট। তার মুখে শোনা, তার ক্লিনিকে একবার একটা মেয়ে ২৪/২৫ বছরের মেয়ে এসেছিলো গর্ভপাত করতে, সাথে ১৮/১৯ এর এক ছেলে। জিজ্ঞেসাবাদে জানা গিয়েছিলো ছেলেটি তার আপন ভাই। দুজনেই কলকাতার নামী কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী। তাদের পড়াশুনার সুবিধার্থেই তাদের বাবা মা কলেজ/ভার্সিটির পাশে বাসা নিয়ে দিয়েছে যাতে দুই ভাইবোন একসাথে থেকে পড়াশুনা করতে পারে। পড়ালেখায় তারা যথেষ্ট ভালো, অন্তত তাদের রেজাল্ট তাই বলে। ধনী মুসলিম পরিবারের দুই ভাইবোন বার বার শুধু একথাই বলেছিলো আমার স্ত্রীকে যে… "শয়তানের ধোকায় পরে এই ভুল করেছি, কেউ যেন জানতে না পারে সেভাবে ব্যাপারটা মিটিয়ে দিন দিদি"...
এবার আসি দক্ষিন এশিয়ার আল্টিমেট ট্যাবু, মা-ছেলের মাঝে আদৌ যৌন মিলন হয় কিনা সে বিষয়ে। আমি যখন জাপানে রিসার্চ স্টুডেন্ট হিসেবে শিক্ষারত, তখন আমার রুমমেট ছিলো উশোনো নামের এক জাপানি ছেলে, তুখোর মেধাবী এবং প্রচন্ড কর্মঠ, সততার উদাহরন, সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রে আপোষহীন। সে বলেছিলো হাই স্কুলে যখন থেকে তাদের সেক্স এডুকেশন শুরু হয় তখন নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষ পেরেন্টস দের কেও বিভিন্ন সেশনে ডাকেন এবং সন্তানের টিনে এজে তাদের মানসিক কি কি পরিবর্তন ও সমস্যা হয় এবং সেগুলো সমাধানে পিতামাতার কিভাবে এগিয়ে আসা উচিত সে সব বিষয়েও খোলাখুলি আলোচনা হয়। জাপানের অনেক মা ই নাকে তাদের পুত্র সন্তানের যৌন শিক্ষায় "বিশেষ" ভূমিকা রাখেন এতে তাদের মা-ছেলের পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধে বিন্দুমাত্র ঘাটতি হয়না বরং মা-ছেলের মাঝে আত্মীক সম্পর্ক আরো দৃঢ হয়। উশোনো স্বীকার করেছিলো যে তার প্রথম যৌন সম্পর্ক হয়েছিলো তার মায়ের সাথে ১৩ বছর বয়সে। প্রথমে মাস্টারবেশন, ক্রমান্বয়ে অরাল এবং এক পর্যায়ে শারিরীক সম্পর্কে গড়ায় তাদের এই সম্পর্ক যা ৩/৪ মাস স্থায়ী ছিলো। তার মা যে তাকে যৌন শিক্ষায় সহায়তা করে এটা তার বাবা জানত এবং সাধুবাদও জানাতো, তবে তারা যে শারিরীকভাবে মিলিত হয় এই ব্যাপারটা তারা গোপনই রেখেছিল বাবার কাছে।
ভারতে এমন হয় কিনা? দুঃখজনক হলেও সত্য, হয়। আমার এক চল্লিশোর্ধ্ব কলিগ, যিনি কিনা একজন সনামধন্য প্রভাষিকা, স্বামী মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, অতএব অসুস্থ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আর উনিশ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে তার সংসার। তার ছেলে আবার গতবছর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগও পেয়েছে। আমার এই কলিগ আমার কলেজ জীবন থেকেই খুব কাছের বন্ধুও, এক সাথে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িতও ছিলাম আমরা। বছর খানেক আগের কথা, একদিন আমার এই কলিগকে দেখলাম ভীষন বিমর্ষ, কাজে-কথায় কেমন অসংলগ্ন। কোন সমস্যা কিনা জিজ্ঞেস করলাম সে এড়িয়ে গেল। দুই-তিন দিন এভাবে চলার পর একদিন লাঞ্চ আওয়ারে একরকম জোড় করেই তাকে ক্যান্টিনে নিয়ে গেলাম লাঞ্চ করতে এবং জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে খুলে বলো। সে সঙ্গে সঙ্গে কেদে ফেললো। শান্ত হওয়ার পর সে আমাকে প্রতিজ্ঞা করালো যে সে যা বলতে যাচ্ছে তা আর কেউ জানবে না এমনকি আমার স্ত্রীও না। তাকে আশ্বস্ত করার পর সে যা বললো তা হলো…
তার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার স্বামী তাকে একটা ভাইব্রেটর কিনে দিয়েছিলো, যাতে তার অবর্তমানে তার স্ত্রী যৈবিক চাহিদা কিছুটা হলেও প্রশমন করতে পারে। সে দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথেই সেটা ব্যবহার করে আসছিলো কোন সমস্যা ছাড়াই। এক দুপুরে কোন এক অসাবধান মূহুর্তে সেটা ব্যবহারের সময় ব্যাপারটা তার সন্তানের দৃষ্টিগোচর হয়। তারা উভয়েই যথেষ্ট লজ্জা এবং অস্বস্তির মধ্যে পরে, তবে ব্যাপারটা ২/৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিকও হয়ে যায়। কিন্তু তার কয়েক সপ্তাহ পর তার সন্তান তাকে একটুকরো কাগজে ছোট্ট একটা চিঠির মাধ্যমে জানায় যে সে তার মায়ের এই একাকিত্বের সঙ্গি হতে চায়। চিঠিটা আমার এই কলিগের কাছে অনেকটা বজ্রপাতের মতো ব্যাপার হলেও ভদ্রমহিলা সন্তানের বয়স এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের সাথে বসে কেন সেটা সম্ভব নয়