রাশিক আজমাইন: গ্রীষ্মকালে নদী-সমুদ্রের পানি বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে গিয়ে পুনর্ঘনীভূত হয়ে মেঘ গঠন করে ৷ অন্য দিকে গরমের কারণে মাটির কাছাকাছি বাতাস গরম হয়ে উপরে উঠে যায় এবং উপরের ভারী ও ঠান্ডা বাতাস নিচে নামে ৷ গরম ও হালকা বাতাস পরিমাণে বেশি হলে সেটা উপরের ঠান্ডা বাতাসকে ঠেলে উপরে উঠে যায় ৷ বাতাসের সাথে সৃষ্ট মেঘ উঁচু হতে থাকে ৷ একই সাথে মেঘের মধ্যে থাকা বরফের স্ফটিক পরস্পর সংঘর্ষ বাঁধায় ৷ তাই মেঘের মধ্যে ঋণাত্মক আধান তৈরি হয় ৷ মাটিতে কোথাও কোনো কারণে ধনাত্মক আধান তৈরি হলে সেই দুই আধান পরস্পরের আকর্ষণে পরস্পরের দিকে সজোরে আসে তখন বজ্রপাত হয় ৷ এভাবে অস্থায়ী বায়ুপ্রবাহ ও বজ্র সহযোগে বজ্রঝড় তৈরি হয় ৷ সৃষ্ট মেঘটিকে Cumulonimbus cloud বা পুঞ্জ মেঘ বলে ৷ একই ততোধিকবার ধনাত্মক আধান তৈরি হওয়া সম্ভব তাই একই জায়গায় বারবার বজ্রপাত হওয়াও সম্ভব ৷