তৎকালীন যুগে কবুতরের মাধ্যমে দূর-দূরান্তে চিঠি আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে কবুতর কিভাবে হবুহু চিনতো,বুঝতো এবং ঠিকভাবে পৌঁছাতো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
2,578 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (10,910 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (10,910 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
Nishat Tasnim- সব কবুতরের এই বিশেষ ক্ষমতাটি ছিলো না। এই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কবুতরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো "Rock pigeon" যারা "Homing pigeon" নামে বেশি বিখ্যাত বা পরিচিত ছিলো। এখন পর্যন্ত কবুতরের Homing record হলো ১৮০০ কি.মি.। অর্থাৎ, একটি কবুতর সস্থান থেকে ১৮০০ কি.মি. দূরে গিয়েও আবার ফিরে এসেছিলো।

কবুতরের এই ঘরে ফেরার ব্যাপারটি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এই ব্যাপারটিতে জীববিজ্ঞানের সাথে সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্সেরও রয়েছে সমান অবদান। সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণা অনেক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সেটি সম্পর্কেই আলোচনা করা যাকঃ-

CYRPTOCHROMES:-

পায়রার চোখের রেটিনাতে মানুষের মতোই দু'ধরনের কোষ থাকে। যথা-রড কোষ ও কোণ কোষ। দন্ডাকার রডকোষগুলোর মধ্যে থাকে একপ্রকার বিশেষ প্রোটিন যাকে বলা হয় "Cryptochromes (ক্রিপ্টোক্রোম)"। এই প্রোটিনগুলো "Blue light বা নীল আলোর উপস্থিতিতে উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে। তাই,এদেরকে বলা হয় "Light activated switch"।

এই প্রোটিন তিন ধরনের হয়। যথাঃ-

১. Cry1 ২. Cry2 ৩. Cry4।

তবে Cry1 এবং Cry2 এই ব্যাপারটিতে কোনো ভূমিকা রাখে না।কেবল Cry4 ই পথ চিনতে সহায়তা করে।

চলুন একটু কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে ঘুরে আসিঃ-

আমরা জানি, পরমানুতে প্রত্যেক ইলেকট্রণ নিজ অক্ষের চারপাশে ঘুরে যাকে আমরা "স্পিন" বলে থাকি। এই ইলেকট্রণের স্পিন চৌম্বকক্ষেত্রের(magnetic field) উপর নির্ভর করে।

যদি চৌম্বকক্ষেত্রের দিক বদল করা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে ইলেকট্রণের স্পিনও বদলে যাবে। এবার,একবার পৃথিবীর কথা ভাবুন। পৃথিবী হলো একটা বিশাল চৌম্বকক্ষেত্র।

সেই আগের বিশেষ প্রোটিন বা Cryptochrome(Cry4) এর গঠনে দেখা যায়, এতে দুটি ফ্রি-রেডিকেল থাকে যাতে অযুগ্ম ইলেকট্রন(unpaired electron) থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে চৌম্বকক্ষেত্রের মানের তারতম্যের কারণে ঐ ইলেকট্রনগুলোর স্পিনেও তারতম্য দেখা যায়।

পায়রা যখন তার গতিপথ পরিবর্তন করে তখন ঐ ইলেকট্রণগুলোর স্পিনের তারতম্যের কারনে মস্তিষ্কে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক সংকেত প্রেরণ করে(অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে)। এই রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমেই পায়রা তার গতিপথ সম্পর্কে পূর্ণধারণা নেয়।

এই চৌম্বকক্ষেত্র দেখার ব্যাপারটিকে বলা হয় "Magnetoreception"।

পায়রা বাসস্থান থেকে অন্য কোনো স্থানে গেলে যে পথে যায় সে পথে যাওয়ার সময় চৌম্বকক্ষেত্রের মানের তারতম্যের কারনে যে ধরনের রাসায়নিক সংকেত পায় তা মনে রাখে। আবার বাসস্থানে ফিরে আসার সময় ঐ একই ধরনের রাসায়নিক সংকেত প্রদানকারী পথে আসতে থাকে। আর সাথে করে নিয়ে আসতো গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র।

এভাবে কবুতর বা পায়রা পথ না ভুলে চিঠিপত্র আদানপ্রদান করতো।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 390 বার দেখা হয়েছে
26 ডিসেম্বর 2023 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nahid Jahan Bhuiyan (4,460 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 2,148 বার দেখা হয়েছে
16 জুন 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Kamrul official (4,280 পয়েন্ট)
+15 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,266 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2020 "গণিত" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,130 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,028 জন সদস্য

144 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 142 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. 12betrip

    100 পয়েন্ট

  3. MaybellVhd10

    100 পয়েন্ট

  4. thabetjewelry

    100 পয়েন্ট

  5. DianneHmw254

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...