ডায়াবেটিস জীবনের জন্য হুমকিস্বরুপ। ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে গ্লুকোজ অর্থাৎ শর্করার পরিমাণ বেশি বেড়ে গেলে অথবা খুব কমে গেলে রোগী কোমায় চলে যায়। বিরল ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। ডায়াবেটিস কোমার প্রাথমিক লক্ষণগুলো জেনে, রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১/কাঁপুনি বা ক্লান্তি অনুভব হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া) এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া) উভয়ের ভিন্ন লক্ষণ থাকলেও, ফলাফল কিন্তু একই হতে পারে- ডায়াবেটিক কোমা।
২/রক্ত শর্করা আপনাকে ক্লান্ত বোধ করাবে। খুব যদি আপনার ব্লাড সুগার কম থাকে অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে তাহলে প্রচন্ড ক্ষুধা অনুভব করতে পারেন। তার সঙ্গে ঘনঘন প্রস্রাব ও হতে পারে।
৩/আপনার মুখ শুকনো এবং শুষ্কতা অনুভব হতে পারে।অস্থিরতা বোধ রক্তের শর্করার পরিমাণ বিপজ্জনক ভাবে কমে যাওয়ায় ফলে হতে পারে।
৪/হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া প্রায় সময়ই উচ্চ রক্ত শর্করার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়।’ * বেশি ঘামা বা প্রচুর প্রসাব হওয়া প্রচন্ড ঘেমে যাওয়া ডায়াবেটিস কমার লক্ষণ।
ডায়াবেটিস কমে গেলে কী করা উচিৎ...
এ লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চার থেকে পাঁচ চা চামচ গ্লুকোজ বা চিনি পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এ ছাড়া এক চামচ জেলি বা মধু অথবা অর্ধেক কাপ ফলের জুস বা এক কাপ দুধ সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। ১০-১৫ মিনিট পর গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাপ করুন। যদি চার মিলিমোলের কম থাকে তাহলে আবারও চার থেকে আট চামচ গ্লুকোজ বা এক চামচ জেলি বা মধু পান করুন। এরপর যদি না কমে তবে আবার গ্লুকোজ খেতে পারেন। এতেও সমস্যা না মিটলে দ্রুত হাসপাতালে যান। অনেক সময় দেখা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে এক মিলিলিটার গ্লুকাগন ইনজেকশন দিতে হবে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইনসুলিনের ডোজ ঠিক করে নিন। ইনসুলিন নেওয়ার ঠিক আধা ঘণ্টা পর খাবার খান। একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান। কোনো বেলার খাবার মিস করবেন না। খাবারে যেন শর্করাজাতীয় খাবার কম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।ডায়াবেটিস কমে গেলে অনেকে চকলেট, কুকিজ, বিস্কুট খান। এটা ঠিক নয়। এগুলো থেকে দ্রুত শর্করা পাওয়া যায় না। নিয়মিত রক্তের গ্লুকোজ পরিমাপ করুন। নিজের সঙ্গে সব সময় শর্করা জাতীয় খাবার রাখুন।