সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স বা এসএলআর ক্যামেরার লেন্স সাধারণত কালো দেখেই অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু ক্যানন ও সনির মতো প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু লেন্স কেন সাদা হয়, সে প্রশ্ন কি কখনো মনে জেগেছে? এর পেছনে কি শুধুই বিপণন কাজ করে? তা কিছুটা বটে, তবে প্রযুক্তিগত বিষয়ও জড়িত আছে এর সঙ্গে। আর তা হলো তাপমাত্রা হ্রাস।
ক্যানন লেন্সের কথা ধরা যাক। প্রতিষ্ঠানটির পেশাদার ‘এল’ সিরিজের কিছু লেন্সের রং সাদা। বেশির ভাগই বড় আকারের টেলিফটো জুম লেন্স। রংটা ঠিক সাদাও নয়, কিছুটা চাপা সাদা (অফ হোয়াইট) রঙেরও বলা চলে। ক্যাননের ইউরোপীয় ওয়েবসাইটে লেখা আছে, লেন্সে কাচের উপাদান (গ্লাস এলিমেন্ট) থাকে। অত্যধিক তাপে কাচের প্রসারণ হতে পারে।
ছোট আকারের কমপ্যাক্ট লেন্সের ক্ষেত্রে এটা কোনো সমস্যা নয়, কারণ তাপে এগুলো খুব কম প্রসারিত হয়। কিন্তু বড় লেন্সগুলোতে প্রসারণ হলে লেন্সের নকশার সহনশীলতা মাত্রার বাইরে চলে যেতে পারে। সাদা তল সূর্যালোক প্রতিফলিত করে, যা লেন্স ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
অন্যভাবে বলতে গেলে, দীর্ঘ সময় প্রখর সূর্যতাপে থেকে যেসব আলোকচিত্রী কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে লেন্সে হালকা রং জরুরি। খেলাধুলা কিংবা বন্য প্রাণীর ছবি যাঁরা তোলেন, তাঁদের উল্লেখ এখানে করা যেতে পারে। হালকা এই রং লেন্সের ভেতরের কাচ এবং ছবির শার্পনেস ধরে রাখে। ১৯৭৬ সালে সাদা রঙের লেন্স প্রথম বাজারে নিয়ে আসে ক্যানন।
তবে কিছু কিছু কালো লেন্সেও তাপ থেকে গ্লাস এলিমেন্ট বাঁচানোর প্রযুক্তি থাকে। যে লেন্সগুলোতে ওভার-ফোকাসিং সুবিধা থাকে, অর্থাৎ ইনফিনিটি চিহ্নের পরও যেগুলোতে ফোকাস রিং ঘোরানো যায়, সেই লেন্সগুলো এই বিভাগে পড়ে।
(Collected from Daily Protom Alo)