গর্ভধারণের সঠিক স্থান হচ্ছে জরায়ু। স্বাভাবিগ গর্ভধারণে নিষিক্ত ডিম্বকোষ গর্ভ বা জরায়ুতে স্থান নেয়। সেখানে ডিম্বকোষ বিভক্ত হওয়ার, শিশুতে পরিণত হওয়ার, শিশু বেড়ে ওঠার মতাে পর্যাপ্ত জায়গা আছে।এর বাইরে যে কোন স্থানে গর্ভধারণ হলে তাকে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলা হয়।
জরায়ুর বাহিরে গর্ভধারণ এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি
আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ। এটি সঠিক সময়ে যথােপযুক্ত চিকিৎসা করার ফলে হয়। লক্ষণীয় যে, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার মানােন্নয়নের সাথে সাথে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি হারও বেড়েছে। প্রতি ২০০ জনের মধ্যে অন্তত একজনের একটোপিক প্রগনেন্সি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এটা আগে থেকে বােঝা যায় না। তাই সতর্কতা
দরকার। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির কারেণ যথেষ্ট
পরিমাণ রক্তক্ষরণের আশঙ্ক থাকে। সেই সময়
সতর্কতা না নিলে মায়েরও মৃত্যুঝুঁকি থাকে।
এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির অবস্থায় দু'রকমের
জটিলতা হতে পারে।
১/ প্রেগনেন্সি স্যাক ফেটে গিয়ে পেটের
ভিতর রক্তপাত। এতে দ্রুত রােগীর অবস্থা খারাপ হয়। তাই মৃত্যু ঝুঁকিও অনেক বেশী।
২/ ধীরে ধীরে অনেকদিন যাবত পেটের
মধ্যে রক্তপাত। এতে ক্রমান্বয়ে রােগীর অবস্থা খারাপ
হয়। মনে রাখতে হবে তুলনামূলকভাবে একিউট
অবস্থাটা বিপজ্জনক।