বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি বাজারে এখন চলছে ভয়াবহ রকমের চিপ সংকট। চীনে এই সংকটটা খুবই বেশি। সংকটের ঢেউ এখনও বাংলাদেশে আসেনি। ঢেউ পৌঁছাতে আরও এক থেকে দুই মাস লেগে যেতে পারে। চিপের সংকট না থকলেও দেশে কম্পিউটারের সিপিইউ’র (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) সংকট চলছে। দেশের বাজারে বর্তমানে ইন্টেল ও এএমডির সিপিইউ সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের প্রযুক্তি বাজারের হালনাগাদ খবর জানতে গিয়ে এসব তথ্যই উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালের আগে চিপ সংকট দূর হচ্ছে না।
বাজারের বিভিন্ন সূত্র জানায়, লকডাউনের এই সময়ে ইন্টেল ও এএমডির সিপিইউ সংকট থাকলেও সরবরাহ স্বাভাবিক আছে মাদারবোর্ড, হার্ডড্রাইভ ও র‌্যামের। দেশে ল্যাপটপের বিক্রি নেমে গিয়েছিল ৪০ শতাংশে। চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতে কিছু সংখ্যক ল্যাপটপ দেশে ঢোকার কথা। লকডাউনের কারণে তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদি ল্যাপটপগুলো বাজারে আসতে পারে, তাহলে যে বিক্রি ৪০ শতাংশে নেমে গিয়েছিল, তা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশে উঠে যাবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করেন। করোনাকালে দেশে ল্যাপটপ সংকট তৈরি হলেও ডেল ব্র্যান্ড তাদের সরবরাহ বরাবরই স্বাভাবিক, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সরবরাহ করে বাজারের শূন্যতা পূরণে সচেষ্ট থেকেছে। এসার ব্র্যান্ডও এই সময়ে ভালো করেছে। এর পরপরই ছিল আসুস ব্র্যান্ড। তবে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়ে এইচপি ও লেনেভো। এই দুটো ব্র্যান্ড বেশি গ্যাপে পড়ে গেছে বলে জানা গেছে। বাজার সূত্র আরও জানায়, এইচপি স্বাভাবিক সময়ে প্রতি মাসে দেশের বাজারে ১০ থেকে ১৫ হাজার ইউনিট ল্যাপটপ সরবরাহ করলেও করোনাকালে তাদের সরবরাহ ২ হাজারে নেমে যায়। আগামী মাসে তা ৪-৫ হাজারে উন্নীত হতে পারে বলে পরিবেশকরা জানিয়েছেন। লেনোভোর সংকটও প্রায় এমনই। অপরদিকে ডেল স্বাভাবিক সময়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে মাসে প্রায় এক হাজার ২০০টি ল্যাপটপ সরবরাহ করলেও করোনার সময়ে এক হাজার ৮০০ ইউনিটের মতো ল্যাপটপ সরবরাহ করেছে। ফলে বাজারে ল্যাপটপের সংকটটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারেনি বলে জানা যায়।