হাত পায়ের আঙুল ফোটালে শব্দ হয় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
856 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (20,390 পয়েন্ট)

6 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (20,390 পয়েন্ট)
অভ্যাসের বশেই হোক অথবা মজা করেই হোক অনেক সময়ই আমরা আঙুল ফোটানোর কাজটা করে থাকি। কখনও কখনও এই ব্যাপারটি নিয়ে বন্ধুদের মাঝে প্রতিযোগিতাও দেখা দেয়। তবে শুধু আঙুল ফোটালেই যে শব্দ হয় ব্যাপারটি এমন নয়। হাঁটা-চলা, ব্যায়াম এমনকি নামাজের সময়ও অনিচ্ছাকৃতভাবে কনুই, হাঁটু, গোড়ালি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগে শব্দ হতে পারে।

অনেকে ভাবেন আঙুল ফোটার এই শব্দ সাধারণত হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে হয়। কিন্তু আদতে এমনটি হয় না।

আঙুল ফোটানোর সময় আমরা আঙুলকে এমনভাবে বেন্ডিং করি যেটি সাধারণভাবে আঙুলের পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। আঙুলের জয়েন্টগুলোর চারপাশে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে এক ধরনের ফ্লুইড থাকে। আঙুলগুলোকে যখন আমরা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনি তখন এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম আর বাবল সৃষ্টি হয় যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙে যায়। এই বাবল ভেঙে যাওয়ার শব্দই মূলত আঙুল ফোটানোর শব্দের উৎস।

গবেষণা বলে, মাঝে মাঝে আঙুল ফোটানো অস্থির ক্ষতজনিত রোগ আর্থ্রায়টিস বা অস্টিওআর্থ্রায়টিস রোগ হওয়ার আশংকা কমিয়ে দেয়।

তবে আঙুল ফোটানো যতই মজার ব্যাপার হোক না কেন অভ্যাসটি খুব একটি ভালো কিছু নয়। স্বাভাবিকভাবে যতটুকু আঙুল ফোটানো হয় ততটুকুই ভালো। এটির পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তবে দেখা দিতে পারে হাড়ের সমস্যা। আর যদি ঘাড় ফোটানোর অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি যত দ্রুত সম্ভব পরিহার করা উচিত। কারণ এ থেকে ঘাড়ে স্থায়ী ব্যথা দেখা দিতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
আমাদের জয়েন্টগুলোর চারপাশে একধরনের ফ্লুইড থাকে, যেটাকে বলা হয় - সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। যখন আমরা আঙুল গুলোকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সরিয়ে আনি, এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয় এবং একটা বাবল তৈরি হয়, যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙে যায়। এই বাবল ফাটার শব্দটাই হচ্ছে, আঙুল ফোটানোর শব্দের উৎস।
0 টি ভোট
করেছেন (15,200 পয়েন্ট)
আঙুলের সংযোগস্থলের মাঝে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে এক প্রকার ঘন পিচ্ছিল তরল জাতীয় পদার্থ থাকে। এর কাজ হল সংযোগস্থলের অস্থিগুলির মাঝে যেন কোন ধরণের সংঘর্ষ না হয়। এই তরলের মাঝে বিভিন্ন গ্যাসও সম্পৃক্ত হয়ে মিশে থাকে।

 

আমরা যখন আঙুল ফোটাই তখন মূলত আঙুলের হাড়গুলোকে টেনে আলাদা করার চেষ্টা করি। এই টানের ফলে সংযোগস্থলের মাঝের স্থানটি বেড়ে যায় এবং আভ্যন্তরীণ চাপ কমে যায়।

 

কিন্তু যখন পুনরায় আগের স্থানে ফিরে আসে তখন সংযোগস্থলের গ্যাসগুলো বুদবুদ সৃষ্টি করে যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ক্যাভিটেশন বলে এবং এই বুদবুদগুলো চাপের কারণে ফেটে গিয়ে শব্দ করে।

 

অনেকের ধারণা এটি করলে ক্ষতি হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে ডোনাল্ড উঙ্গার প্রমাণ করেন যে সেই ধারণাটি ভুল। এই গবেষণার জন্য তিনি ২০০৯ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন।
0 টি ভোট
করেছেন (180 পয়েন্ট)
আমরা যখন আঙুল ফোটাই বা কোন মুভমেন্ট করি দেখা যায় হাড় থেকে শব্দ তৈরি হয়।

সাধারণত আঙুল ফোটানো বা শরীরের কোন মুভমেন্টের সময় হাড় যে পরিমাণ ঝুকে যায় তা সাধারণত এমনি সময় ঝোকে না এবং কোন হাড়ের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে করা সম্ভব না। আমরা জানি যে, আমাদের হাড়ের সংযোগস্থলের চারদিকে থাকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড, যা এক প্রকার তরল।

আঙুল ফোটানো বা শরীরের মুভমেন্টের ফলে হাড় বেকে যাওয়ার সময় এই ফ্লুইড গুলোতে প্রথমে শুন্যস্থানের সৃষ্টি হয় (এক প্রকার বাবলের সৃষ্টি হয়) এবং সাথে সাথেই তা ফেটে যায়। ফলে আমরা শব্দ শুনতে পাই।

এটি অঅত্যন্ত বাজে অভ্যাস কেনোনা বেশি আঙুল বা হাড় ফোটানোর ফলে হাড়ে ব্যাথা, অস্থির ক্ষতি, হাড়ের স্থানচ্যুতি, আর্থাইটিসসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব পরিহার করা উচিত।
0 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)
আঙুল ফাটানোটা আসলে কি??
অনেকেই মনে করে থাকেন হাড়ের সাথে হাড়ের ঘষা লেগেই হয়তো আঙুল ফাঁটার  আওয়াজ সৃষ্টি হয় যেটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

আমাদের দেহের যে অস্থিসন্ধিগুলো আছে তার চারপাশে এক ধরনের তরল থাকে, যেটাকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড বলে। যখন আমরা অস্থিসন্ধিগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসি, তখন সাইনোভিয়াল ফ্লুইডে এক ধরনের ভ্যাকিউম সৃষ্টি হয় এবং একটি বাবলের  সৃষ্টি হয় যা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফেটে যায়। এই বাবল ফাটার শব্দটাই আমাদের কানে পৌঁছায়। এটাই হল আঙ্গুল ফাটানোর শব্দের আসল কারণ।

মাঝে মাঝে আঙ্গুল ফোটানো যদিও ক্ষতিকর না তবে মাত্রাতিরিক্ত আঙ্গুল ফুটানোর কারনে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
.
.

Shah Reyajur Rahman Raj (টিম সায়েন্স বী)
0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)
আঙ্গুল ফোটালে শব্দ হয় কারণ আঙুলের জয়েন্টে থাকা সিনোভিয়াল ফ্লুইডের বুদবুদ ফেটে যায়। সিনোভিয়াল ফ্লুইড হল একটি তরল যা আঙুলের জয়েন্টকে লুব্রিকেট করে এবং ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করে। আঙুল ফোটানোর সময়, আমরা আঙুলের জয়েন্টকে হঠাৎ করে টেনে বা মোচড় দিয়ে সিনোভিয়াল ফ্লুইডের চাপ বাড়াই। ফলে, ফ্লুইডের মধ্যে থাকা গ্যাসের বুদবুদগুলি ফেটে যায় এবং শব্দ হয়।

আঙ্গুল ফোটানোর শব্দটি সাধারণত "পট-পটাং" বা "ক্র্যাক" হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি একটি উচ্চ শব্দ হতে পারে, যা অন্যদের বিরক্ত করতে পারে। তবে, আঙ্গুল ফোটানোর শব্দটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

একসময় মনে করা হত যে, আঙুল ফোটানোর ফলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে, বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আঙুল ফোটানো এবং আর্থ্রাইটিসের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।

আঙ্গুল ফোটানো একটি সাধারণ অভ্যাস। অনেক মানুষই অভ্যাসগতভাবে আঙুল ফোটে। তবে, যদি আপনার আঙুল ফোটানোর অভ্যাস খুব বেশি হয়, তাহলে এটি আপনার আঙুলের জয়েন্টের নমনীয়তা কমিয়ে দিতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
4 টি উত্তর 606 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 846 বার দেখা হয়েছে
18 ফেব্রুয়ারি 2022 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন samir_al_mahmud (190 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 471 বার দেখা হয়েছে
28 জানুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,200 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,455 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 253 বার দেখা হয়েছে

10,760 টি প্রশ্ন

18,423 টি উত্তর

4,737 টি মন্তব্য

249,473 জন সদস্য

42 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. 789bwin

    140 পয়েন্ট

  2. Sheikh Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Shubrnatalukdar

    110 পয়েন্ট

  4. Elma Hasan Jahnbee

    110 পয়েন্ট

  5. Taspia Tahsin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য #science প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বাংলাদেশ বিড়াল
...