কোয়ান্টাম তত্ত্ব কী? এটির কেন এত গুরত্ব? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
9,088 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2,620 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (24,290 পয়েন্ট)
কোয়ান্টাম তত্ত্ব: “আলোকরশ্মি যখন কোন উৎস থেকে অনবরত বের না হয়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন প্যাকেট শক্তি গুচ্ছ আকারে বের হয়।” অর্থাৎ, E=hν; যেখানে E= ফোটনের শক্তি, h= প্ল্যাংক ধ্রুবক, ν = ফোটনের কম্পাংক।

প্রত্যেক বর্ণের আলোর জন্য এক একটি বিচ্ছিন্ন প্যাকেটের শক্তির নির্দিষ্ট মান রয়েছে। এই এক একটি বিচ্ছিন্ন প্যাকেটকে কোয়ান্টাম বা ফোটন বলে। বিজ্ঞানী ম্যাক্সপ্লাঙ্ক ১৯০০ সালে কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রদান করেন।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ১৯ অক্টোবর : মাক্স প্লাঙ্ক বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের এক সেমিনারে একটি নূতন ফর্মুলা উপস্থাপন করলেন যা কৃষ্ণবস্তু থেকে বিকিরণের এন্ট্রপি ফর্মুলাকে আরও ব্যাপকভাবে পরিবর্ধিত করে।

সে সময় পদার্থবিদ্যায় এক বিরাট সমস্যা ছিল কৃষ্ণবস্তু থেকে বেরিয়ে আসা বিকিরণের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা। প্রাচীন তাপগতিবিদ্যা এই সমস্যা সম্পূর্ণ ভাবে সমাধান করতে পারে না। এ বিষয়ে কাজ করেন বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশিষ্ট পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানী হেনরিক রুবেন, আর্নস্ট প্রিংসাইম, অটো লুথান প্রমুখ আরও বিজ্ঞানী; আর উত্সাহী তাত্ত্বিক বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিলেন ডব্লু ভিন, লর্ড র‍্যালে এবং কে এইচ জিনস।

কৃষ্ণবস্তু এমন একটি বস্তু যার উপরে আপতিত সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ শোষণ করে নেয়। একটি গর্তের সরু মুখ বা ওভেনের দরজা কার্যত কৃষ্ণবস্তুর মতন ব্যবহার করে। ১৭৯২ সালে টি ওয়েজউড লক্ষ করেছিলেন যে তাপিত সকল বস্তু একই তাপমাত্রায় রক্তিম হয়ে যায়। পরবর্তীকালে এই অনুমানের সঠিক ব্যাখ্যা দেন কারচফ। ১৮৫৯ সালে তিনি তাপ-গতি তত্ত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে বিকিরণ শক্তি ও শোষণ সহগের অনুপাত কেবল মাত্র কম্পাংক ও তাপমাত্রার অপেক্ষক, বস্তুর চরিত্রের উপর নির্ভরশীল নয়।

১৮৯৩ সালে ডব্লু ভাইন আরেক ধাপ এগিয়ে তাপ-গতি তত্ত্ব ও ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বকে সংযুক্ত করে দেখাতে সক্ষম হলেন বিকিরণশক্তি দু’টি সংখ্যার গুণফল। সংখ্যা দু’টি হল : কম্পাঙ্কের ত্রিঘাত ও কম্পাঙ্ক-তাপমাত্রার অনুপাতের অপেক্ষক। যদিও ভাইনের নিয়ম থেকে সহজেই স্টিফেন-এর নিয়মে আসা যায় তথাপি এই তত্ত্বে বিকিরণশক্তি অসীম হতে চাইল যা একেবারেই অসম্ভব। কৃষ্ণবস্তুর দেওয়ালে হার্জিয়ান কম্পকদের এক রকম শক্তি -বণ্টন ব্যবস্থা ও এক ধরণের এন্ট্রপি বণ্টন-ব্যবস্থা আছে। সাম্য অবস্থায় এন্ট্রপি সব চেয়ে বেশি হতে হবে এবং তা পরিসংখ্যান পদ্ধতির সাহায্যে গণনা করা যায় বোলৎজমানের মৌলিক সমীকরণটি কাজে লাগিয়ে। সম্ভাব্যতা গণনা করতে গিয়ে প্লাঙ্ক দেখলেন কম্পকের শক্তিকে ছোট অথচ সসীম অংশে – ‘কোয়ান্টা’-য় ভাগ করে ফেলা সুবিধাজনক। এই অনুমানের সাহায্যে প্লাঙ্ক একটি কম্পকের গড় শক্তি পরিমাপ করতে পারলেন। এর থেকেই এলো কৃষ্ণবস্তু বিকিরণ ফর্মুলা।

১৯৩১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিজ্ঞানী আর ডব্লু উড প্লাঙ্ককে জিজ্ঞাসা করেন যে কোয়ান্টাম তত্ত্বের মতন একটি অবিশ্বাস্য জিনিস কী ভাবে আবিষ্কার করলেন। প্লাঙ্কের উত্তর হল :

"খানিকটা মরিয়া হয়ে এ কাজ করেছি। ছয় বছর ধরে আমি কৃষ্ণবস্তু বিকিরণ তত্ত্ব নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমি জানতাম সমস্যাটি মৌলিক এবং তার উত্তর আমার জানা ছিল। যে কোনও উপায়ে আমাকে তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বের করতে হবে যা তাপগতিতত্ত্বের দু’টি নিয়ম বিঘ্নিত করবে না"।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 845 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 505 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,284 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 968 বার দেখা হয়েছে
27 ফেব্রুয়ারি 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

853,502 জন সদস্য

32 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 32 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. nhacaiuytincomph2

    100 পয়েন্ট

  2. xemthoitiet

    100 পয়েন্ট

  3. 8Xbetoacom

    100 পয়েন্ট

  4. MV88maigiabiz

    100 পয়েন্ট

  5. 58WINuz10gogolokin6i

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...