সকল প্রকারের আরএনএর মধ্যে mRNA-র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
DNA থেকে ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে mRNA সৃষ্টি হয়। mRna লম্বা চেইনের মতো। এর ৫’ প্রান্তের কয়েকটি বেস কোডনবিহীন, এ প্রান্তকে ৫’ লিডার বলে। আবার ৩’ প্রান্তের কয়েকটি বেস কোডনবিহীন, এ প্রান্তকে ৩’-ট্রেইলার বলে।
mRNA-র প্রধান কাজ হচ্ছে ডিএনএ থেকে জেনেটিক তথ্য রাইবোজোমের কাছে নিয়ে যাওয়া, যার সাহায্যে রাইবোজোম প্রোটিন সংশ্লেষণ করতে পারবে। তাহলে mRNA একজন বার্তাবাহক আর সে প্রোটিন সংশ্লেষণের বার্তা নিয়ে যায় রাইবোজোমের কাছে।
mRNA-র মধ্যে থাকা নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারগুলোকে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি গ্রুপে ৩টা করে নাইট্রোজেন ক্ষার থাকে আর প্রত্যেকটা গ্রুপকে বলা হয় এক একটি “Codon”. প্রোটিন সংশ্লেষণের সময় এই Codon গুলো প্রোটিনে আমিনো এসিডের অনুক্রম নির্ধারন করে এবং কখন প্রোটিন সংশ্লেষণ শুরু করতে হবে তা নির্দেশ করে।
ইউক্যারিওটিক mRNA-তে কিছু নিউক্লিওটাইড সিকুয়েন্স দেখা যায় যেগুলো কোনো প্রোটিনকে কোড করেনা, এগুলোকে বলা হয় “Intron” , আর যেই সিকুয়েন্সগুলো প্রোটিনের জন্য কোড করে তাদেরকে বলা হয় “Exon”. প্রোটিন সংশ্লেষণের আগে Intronগুলোকে “Splicing” করা হয়।
সাইটোপ্লাজমে mRNA-র কিছু “শত্রু” আছে যারা সবসময় mRNA কে খন্ড-বিখন্ড করে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত নিউক্লেজ এনজাইম mRNA ধ্বংস করতে সক্রিয় থাকে।
প্রোটিন সংশ্লেষণের সময় mRNA-র নিউক্লিয়াস টু রাইবোজোম যাত্রা শুরু হওয়ার আগে, mRNA-র ৫’ এবং ৩’ প্রান্তে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনা হয় যার কারনে mRNA অক্ষত অবস্থায় রাইবোজোমে পৌঁছাতে পারে।