প্রোগ্রামিং ভাষার প্রকারভেদ
মুলত প্রোগ্রামিং ভাষাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
এগুলো হলঃ
১. উচ্চস্তরের ভাষা
২. মধ্যস্তরের ভাষা
৩. নিম্নস্তরের ভাষা
১. উচ্চস্তরের ভাষাঃ এই ভাষাটা মানুষের জন্য বেশ সহজবোধ্য কিন্তু একে বুঝতে কম্পিউটারকে বেশ বেগ পেতে হয়। উচ্চতর ভাষার সাথে মানুষের ভাষার মিল আছে। এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম বিভিন্ন ধরনের মেশিনে ব্যবহার করা সম্ভব। এটি মানুষের জন্য বুঝতে পারা খুব সহজ কিন্তু কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে না বলে অনুবাদক প্রোগ্রামের সাহায্যে একে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত করে নিতে হয়।
উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা (ইংরেজি: High-Level Programming Language) হল এমন একটি প্রোগ্রামিং ভাষা যা অন্যান্য নিম্নস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর তুলনায় আরও বিমূর্ত (Abstract), সহজে ব্যবহারযোগ্য ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সহজে বহনযোগ্য (Portable)। এ ধরণের ভাষায় ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার মেমরি নিয়ে সরাসরি কাজ করতে দেয়া হয়না। যেমনঃ কিউবেসিক, সি, সি++,জাভা ইত্যাদি।
২. মধ্যস্তরের ভাষাঃ আসলে মধ্যস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষার সংজ্ঞা দেওয়া বেশ কঠিন একটা কাজ। তবে বলা যায়, এটা মানুষের জন্য শেখা বেশ কঠিন নয়। এটা বেশ বন্ধুসুলভ ভাষা। এতে আমরা কম্পিঊটারের মেমরি নিয়ে কাজ করতে পারি। অনেক সময় মধ্যস্তরের ভাষাকে উচ্চস্তরের ভাষাও বলা হয়ে থাকে। যেমনঃ সি, সি++ ইত্যাদি।
৩. নিম্নস্তরের ভাষাঃ নিম্নস্তরের ভাষা(low level language) সরাসরি কম্পিউটারের প্রধান মেমোরির উপর কাজ করতে পারে। অ্যাসেম্বলি ভাষা একটি নিম্নস্তরের ভাষা,এ ভাষায় সরাসরি কম্পিউটারের রেজিস্টারকে নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করতে হয়। এ ভাষাগুলো হার্ডওয়্যারের উপর নির্ভরশীল,তাই এক কম্পিউটারে অ্যাসেম্বলি ভাষায় লেখা প্রোগ্রাম অন্য কম্পিউটারে কাজ নাও করতে পারে। এই ভাষা আয়ত্ত করা বেশ কঠিন কাজ। তবুও আগের প্রোগ্রামাররা কষ্ট করেই এই ভাষাতেই প্রোগ্রাম লিখত। যেমনঃ অ্যাসেম্বলি ভাষা।
©