টাইম ট্যাভেল। সত্যি বলতে কি, এই দু’টি শব্দে আমি যা টান অনুভব আর অজানা আকর্ষণ বোধ করি, তা বোধ হয় আর কিছুতে পাই না। আমার সত্যিকারের প্রথম ভালোবাসা যে, তার ফেসবুক পোস্ট অথবা পাশ দিয়ে চলে যাওয়াতেও, সেই রোমহর্ষক ব্যপারাটা উপলব্ধি করিনি বা করি না। নাহ... আমার বর্তমান মনের মানুষের চোখের চাহনি, তার গলার স্বর আমার কাছে অনেক অনেক মূল্যবান হলেও, বলতে দ্বিধা নেই, তার চেয়ে টাইম ট্র্যাভেলের মিথ আমার কাছে আরও বেশি দুর্মূল্য, রহস্যময় এবং অজানা আকর্ষণের।
টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে আমি অনেক সায়েন্স-ফিকশনের নভেল পড়েছি। সিনেমাও দেখেছি। নভেলের মধ্যে অ্যালেক্স স্ক্যারোর লেখা টাইম রাইডার্স আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। ওই সিরিজের ৯টা বই টানটান উত্তেজনায় ভরা। সিরিজটা মূলত টিনএজ রিডারদের জন্যই। তবে, সিরিজটার একটা বিষয় আমার খুব ভালো লাগে আর সেটা হলো, বই বিক্রির জন্য লেখক কোনও রকম যৌন উষ্ণতার পরশ আনেননি ওখানে। অথচ আপনি বইগুলি নিয়ে বসলে, শেষ না করে উঠতে ইচ্ছে করবে না। টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে আমার পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বইটি এই সিরিজের একেবারে উল্টো। টাইম ট্র্যাভেল্যার্স ওয়াইফ। পুরোপুরি অন্য ধাঁচের গল্প। এখানে টাইম ট্র্যাভেল কোনওরকম যন্ত্র নির্ভর নয়। পুরোটাই বায়োলজিকাল ব্যাপার। যাঁরা পড়েছেন, আশা করি বুঝতে পারছেন, কেন এই দু’টি বই আমার পছন্দের তালিকায় সেরা দুইয়ে রয়েছে।
বলা হয়, বিজ্ঞানের কাছে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। যদি সেই থিওরিতে বিশ্বাস করি, তাহলে বলব, একদিন টাইম ট্র্যাভেল সত্যিই বাস্তব হবে। যন্ত্রের সাহায্য অবশ্যই আমাদের লাগবে। কিন্তু, আইনস্টাইনের থিওরি তখন কতোটা বাস্তব ধরনের হবে, সেটাই দেখার। আইনস্টাইনের থিওরি আর সিনেমা অথবা গল্পে লেখার টাইম ট্র্যাভেলের ধরন কিন্তু আলাদা। যেমন বিজ্ঞান বলে মাধ্যকর্ষণ শক্তি যতো কমতে থাকে, ততোই সময় ধীরে অতিবাহিত হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠে যে গতিতে সময় বয়ে চলে, তার গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে যতো ওপরে ওঠা যায়। এই থিওরি বলে একজন যদি মহাকাশে পাঁচ বছর কাটিয়ে চলে আসেন, পৃথিবীর থেকে সংশ্লিষ্ট দূরত্ব মেনে, তাহলে পৃথিবীতে থাকাকালীন তার যেভাবে পাঁচ বছর বয়স আরও বাড়তো, তার তুলনায় তিনি কম বুড়ো হবেন অর্থাৎ তাঁর পরিচিত সমবয়সী ব্যক্তিরা তাঁর চেয়ে বেশি বুড়ো হয়ে যাবেন। সম্প্রতি যে ব্ল্যাকহোলের ছবি আমরা দেখেছি, তা এরকমই। ঠিক এই ভাবেই আমরা এমন অনেক তারার আলো দেখতে পাই, যার আলো এসে পৌঁছতে আমাদের কাছে কোটি কোটি আলোকবর্ষ লেগেছে। অথচ সেই তারা অনেক আলোকবর্ষ আগেই মারা গিয়েছে। অতএব, বিজ্ঞানের থিওরি বলে, সময় জলের মতো একটা দিকেই প্রবাহিত হয়। কথিত তথ্য হলো, তাতে শুধুই প্রবাহের অভিমুখে যাত্রা করা যায়, বিপরীতে নয়। যদিও তা এখনও প্রমাণিত নয়।
উল্টোদিকে, কল্পবিজ্ঞান অর্থাৎ সাই-ফাই নভেলের থিওরিও কিন্তু সমান রোমাঞ্চকর। এখানে বলা হয়, সময় জলের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। আর তাকে যদি আমরা একটা লম্বা-লম্বিভাবে খাড়া করে দেখি, তাহলে অতীতে থাকবে নিচের দিকে আর ভবিষ্যৎ আছে উপরে। আমরা ততোটা পর্যন্তই ভবিষ্যতে যেতে পারবো, যা ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে। এখানে না ঘটা ভবিষ্যতের কোনও স্থান নেই। অর্থাৎ আমরা ভবিষ্যতের মানুষের অতীত। বইয়ের থিওরি বলে, সময়ের দু’দিকেই যাত্রা করা সম্ভব। শুধু এমন একটা যন্ত্র দরকার, যা সময়ের ধারার দেওয়ালের মধ্যে একটি ওয়ার্ম হোল তৈরি করবে। আর তা এতোটাই সুক্ষ হতে হবে, যাতে কারওর নজরে না আসে। নাহলে ওই দেওয়ালের বাইরে থাকা এনার্জি ফিল্ডের মধ্যে বিচরণ করা এনার্জি দিয়ে তৈরি কোনওরকম সত্ত্বা বা এনটিটি, সেই ছিদ্র দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে যেতে পারে। আর তা থেকে নানান বিপত্তি ঘটে যেতে পারে। কারণ, তা তো আমাদের চোখে দেখা টু-ডাইমেনশনাল বাস্তব জগতের জন্য তৈরি নয়।
কল্প বিজ্ঞানের রোমাঞ্চ অনুযায়ী, ওই সুক্ষ ওয়ার্ম হোল দিয়ে ততক্ষণ কোনও রক্ত-মাংসের মানুষের যাত্রা করা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না তার অর্গ্যানিক শরীরকে সরাসরি এনার্জিতে পরিণত করা হচ্ছে। কোনও কোনও কল্প-বিজ্ঞানে এই বিষয়টিকে আরও ভেঙ্গে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট টাইম ট্র্যাভেলরের বাস্তবিক সত্ত্বাকে ধ্বংস করে, তাকে ওয়ার্ম হোল দিয়ে প্রবেশ করার মতো অতি-সুক্ষ এনার্জি কণাতে পরিণত করতে হবে প্রথমে। এটা গেল প্রথম ওয়ার্ম হোলের ব্যাপার। এবার যে সময়কে টার্গেট করা হয়েছে বর্তমান সময়ের বিপরীতে (অতীত অথবা ভবিষ্যৎ), সেখানে দ্বিতীয় ওয়ার্ম হোল সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমান সময়ের ওয়ার্ম হোল দিয়ে প্রবেশ করানো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এনার্জি কণাগুলিকে ওই দ্বিতীয় ওয়ার্ম হোল দিয়ে প্রবেশ করিয়ে তাকে আবার গঠন করতে হবে রক্ত-মাংসে। এবার বর্তমান সময় থেকে অতীত অথবা ভবিষ্যতের দিকে যতোটা পিছনো বা এগনো হবে, এনার্জি কণায় রূপান্তরিত সংশ্লিষ্ট মানব শরীরকে ততোটা বেশি সময় অতিক্রম করতে হবে একনাগাড়ে।
এনার্জি ফিল্ডে থাকাকালীন এনার্জি কণার ওপর প্রভাব পড়তে বাধ্য। কারণ, একটি কণা আরেকটি কণাকে আকর্ষণ করে। ফলে মানব শরীর থেকে রূপান্তরিত হওয়া এনার্জি কণাকে এনার্জি ফিল্ডের এনার্জি কণাদের থেকে আলাদা করে তৈরি করা এবং তাকে সনাক্ত করার জন্য আলাদা রকম প্রযুক্তি দরকার। তবেই, দ্বিতীয় ওয়ার্ম হোল দিয়ে নির্দিষ্ট সময় স্রোতে তাকে আবার রক্ত-মাংসের রূপ দেওয়া সম্ভব হবে। এখানে এটাও মনে রাখা দরকার, এই কারণেই বহু টাইম ট্যাভেলের সাই-ফাই নভেলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকমতো রি-জেনারেট হওয়া অথবা তাতে হেরফের হয়ে ব্যক্তির মৃত্যু ঘটা, নয়তো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেহে বিকৃতি আসার মতো কাহিনী রচনা করা হয়েছে। আর আমাদের শরীর যা, আর এতে এতো সুক্ষ ধমনী, শিরা, নিউরোন রয়েছে, যার একটার এদিক-ওদিক হলে শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেবে। তবে, কোনও মানুষের শরীরকে ধ্বংস করে পুনরায় তৈরি করার থিওরিতে আমি অঙ্গ্য-প্রত্যঙ্গ বিকৃতি এসে যাওয়ার ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করি না অনেক ক্ষেত্রে। কারণ, প্রথম সত্ত্বাকে তো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ফলে, দ্বিতীয়বার তাকে রচনা করার সময় পুরোপুরি নতুনভাবে শরীর রচনা করার স্বাধীনতা থাকছে। কিন্তু, এখানেও আবার বিপরীত মতবাদ চলে আসে। হুবহু একই রকমভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গঠন করতে গেলে তার আগের সত্ত্বাকে অনুকরণ না করলে হবে না। নতুন করে গঠন করতে গিয়ে তা একেবারে নতুন করে তৈরি করার মানে হলো, কোনও না কোনও পার্থক্য আসবে। আর সেই পার্থক্যটা অতি সুক্ষ হলেও, সেটা কিন্তু আদতে বিকৃতিই।
একটা মানুষের শরীরকে ক্ষণিকের মধ্যে ধ্বংস করা, তারপর তাকে এনার্জি কণাতে রূপান্তরিত করা, তারপর তাকে প্রথম ওয়ার্ম হোল দিয়ে এনার্জি ফিল্ডে পাঠানো, তাকে আলাদা করে সনাক্ত করা, এরপর দ্বিতীয় ওয়ার্ম হোল দিয়ে তাকে প্রবেশ করানো এবং দ্বিতীয়বার রি-জেনারেট করা – বিষয়টা ভালো করে ভেবে দেখলে, এখানে কিন্তু পুরোপুরি ওয়ারলেস এবং উচ্চ-প্রযুক্তির ওয়াইফাই টেকনলজি দরকার পড়বে। আর দরকার পড়বে, সেরকম কাজকর্ম সাবলীলভাবে সামলানোর জন্য সুপার-কম্পিউটার। কারণ, কোনওভাবে কম্পিউটার ক্র্যাশ করার অর্থ হলো, এনার্জি কণায় রূপান্তরিত মানুষ ওই এনার্জি ফিল্ডে আটকে পড়ে থাকবেন। আর তা কতোটা সময় সেখানে থাকতে পারবে, সেটাও একটা বিষয় এসে যাবে অধ্যয়নের। তাছাড়া, বর্তমান সময় থেকে অতীত অথবা ভবিষ্যতে পাঠানো সত্ত্বার সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে প্রয়োজন হবে, সেরকম শক্তিশালী ইন্টারনেট পরিষেবার, যা অতোটা দূরত্ব পর্যন্ত সিগন্যাল পাঠানো, পরিবহন এবং ফেরত আনতে সক্ষম হবে।
এতোক্ষণ টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে আলোচনাটা পুরোপুরি প্রথাগত বিজ্ঞানের গণ্ডিতেই আটকে ছিল। এবার তাহলে এর পরিসরকে আরেকটু বাড়ানো যাক। বাস্তবসম্মত বিজ্ঞানের মতাদর্শ অনুযায়ী, যা ঘটে গিয়েছে, তাকে বদলানো কখনই সম্ভব নয়। কিন্তু, কল্পবিজ্ঞানের মতাদর্শ বলে, অতীতকে বদলানো সম্ভব। বদলানো সম্ভব ভবিষ্যতকেও। বর্তমান সময়ের শরীর, যা সামান্য হাওয়া বদলে বেকায়দায় পড়ে যায়, তা ভিন্ন সময়ে কিভাবে নিজেকে সামলাতে পারবে। অবশ্য রি-জেনারেট করার থিওরিতে বিশ্বাস রাখলে সংশ্লিষ্ট সময়ের ভিত্তিতেই তাকে ফের গড়া কোনও অসাধ্য সাধন নয়। কিন্তু, ব্যাপার হলো, এই প্রযুক্তি যদি সত্যিই আবিষ্কার হয় এবং জনমানসে তার তথ্য প্রকাশ করা হয়েও যায় কোনওদিন, তা কতোটা বাস্তব সম্মত হবে? অতীত ও ভবিষ্যৎকে যদি সত্যি বদলানো যায়, তার ওপর নির্ভর করে টাইম ওয়েভ যদি বদল নিয়ে আসে, তা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের শরীর তা সামলানোর মতো কতোটা সক্ষমতা রাখবে? সত্যিই যদি অস্তিত্ব মুছে যায় কোনও মানুষের, আবার অন্য একটি মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে আসে। বর্তমান সময়ে আমাদের পেশা ও চরিত্রগত বিষয়ে সেই টাইম ওয়েভের রেখে যাওয়া পার্থক্যকে আমরা মেনে নিতে পারবো তো ক্রমাগত? কারণ, কু হোক বা সু, টাইম ট্র্যাভেলের প্রভাব কিন্তু পড়তে বাধ্য। এই প্রযুক্তিকে রক্ষা করার মতো মানসিকতা এবং ইচ্ছে আমাদের থাকবে তো? আমরা সবসময় নিজের জীবনকে বদলানোর কথা ভাবি। অথচ তো এটা কখনও ভেবে দেখি না, আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া মুহূর্তে সামান্য বদল এলে, একজন কেন একাধিক মানুষের জীবনে তথ্যগত পরিবর্তন চলে আসবে। সেই বদল ঘটানোর অধিকার আমাকে বা আমাদের কে দিয়েছে? উত্তরটা হলো, কেউ দেয়নি। আর সেই কারণেই টাইম ট্র্যাভেল বাস্তবে যদি থেকেও থাকে অথবা কোনও যদি বাস্তবে পরিণতও হয়, তা সাধারণ মানুষের থেকে লুকিয়েই রাখা হবে। কারণ, সেটাই সবার জন্য ভালো।
আমি তো আরও ভাবি। কল্পবিজ্ঞানকে যদি সত্যি ধরে নেওয়া হয়, তাহলে প্রশ্ন চলে আসবে, এনার্জি ফিল্ডের পরিসর কতোটা? উলম্ব হয়ে থাকা সময়দণ্ডের দুই প্রান্তের সীমা কোথায়? তা কে নির্ধারণ করে দিল? কতোটাই বা তার সর্বোচ্চ সীমা? আর তখনই চলে আসবে, সেই কথা। আমরা কি তাহলে কোনও বড়ো এক্সিপেরিমেন্টের অঙ্গ? যারা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে রোজকার কাজকর্ম করে চলেন, তারাই কি পারফেক্ট প্রোডাক্ট? আমার মতো যারা ভাবেন অথবা বিজ্ঞানীরা কি তাহলে ডিফেক্টিভ প্রোডাক্ট, নাকি ডাইভার্জেন্ট অর্থাৎ অন্যভাবে ভাবতে জানে এমন প্রোডাক্টের এক্সিপেরিমেন্ট করা হচ্ছে? মহাবিশ্বকে কি তাহলে কোনও কিছুর মধ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে? তাই যদি হয়, তাহলে তার পরিসর কতোটা? যারা এই এক্সিপেরিমেন্ট করছেন, তাদের কে এই অধিকার দিলো? টাইম ট্র্যাভেলের আবিষ্কার হলে এবং তাঁদের সেই এক্সপেরিমেন্টের রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে গেলে সেটাকে কি তারা মেনে নিতে পারবেন? এরকম আরও অনেক প্রশ্ন চলে আসবে আমাদের সামনে। টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে বরং হীতে-বিপরীতই হবে। আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, তা যদি বাস্তবে পরিণত হয়েও থাকে বা হয়েও যায়, তার তথ্য সাধারণ মানুষের জন্য কখনও সহজলভ্য করা হবে না।
একটু ভেবে দেখুন তো, কখনও কি এরকম মনে হয়েছে, কোনও একটা ঘটনা ঘটেছে বলে আপনার স্মৃতিতে রয়েছে। অথচ সেটা কোনওদিন ঘটেইনি, এরকম আভাস হচ্ছে। তথ্য ঘেঁটেও দেখলেন সেটা সত্য নয়। অথচ কেন না জানি না, আপনার মগজে তা ভাসাভাসা হলেও, চিত্রটা ঠিক মজুত রয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে, আমি বলব, টাইম ট্র্যাভেল সত্যিই আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। আর ওই না ঘটা ঘটে যাওয়া স্মৃতি আসলে টাইম ওয়েভের কারণে মুছে যাওয়া ইতিহাস। যা মগজের কোথাও পড়ে রয়েছে অব্যবহৃত হয়ে। ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমার মগজেও এরকম কিছু স্মৃতি রয়েছে, যা অবচেতন মস্তিষ্ক থেকে বাইরে চলে আসে মাঝেমধ্যে। অথচ তার সমর্থনে বাস্তবিক কোনও তথ্য নেই। কিন্তু, তা যে কোনওদিন ঘটেনি, তা মেনে নিতে আমার দ্বিধা কেন, বরং বলব, একেবারেই ইচ্ছে করে না। মাথায় প্রশ্ন আসে, গ্রেট এক্সেপেরিমেন্ট কি টাইম ওয়েভ আনার জন্যই, নাকি অল্টারনেটিভ টাইম ওয়েভ আসলে গ্রেট এক্সপেরিমেন্টের ডিফেক্ট?
প্রশ্ন হলো, টাইম ট্র্যাভেল যদি সত্যিই থেকে থাকে বা কোনওদিন বাস্তবে পরিণত হয়, আর এইসব কথিত কল্পনা যদি বাস্তব হয়ে থাকে, তাহলে তা মেনে নেওয়া জন্য আপনি, আমি তৈরি থাকবো তো? যদি হ্যাঁ হয়... তাহলে টাইম ট্র্যাভেল বাস্তবের আলো দেখুক। আর যদি উত্তর না হয়, তাহলে টাইম ট্র্যাভেল মিথ হিসেবেই থেকে যাক চিরকাল...এতেই মানব সভ্যতার কল্যাণ।
ক্রেডিট- কোরা