অটোফেজি কি??? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
448 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (7,990 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (20,400 পয়েন্ট)
অটোফেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটো ও ফাজেইন থেকে। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে—আত্ম ভক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে ফেলা। বিষয়টি শুনতে ভয়ানক হলেও এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কেননা এটা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহকে পরিষ্কার করার একটা প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হয় কোষীয় পর্যায়ে। শরীরের বিভিন্ন কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রোটিন তৈরি হয় এবং প্রোটিনের কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রোটিনের গঠনটি অ্যামিনো অ্যাসিড দ্বারা ত্রিমাত্রিক হতে হয়। যদি ত্রিমাত্রিক না হয় তবে প্রোটিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে ও নানা রোগের সৃষ্টি করবে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০% প্রোটিন সঠিকভাবে সংশ্লেষ হতে পারে না ফলে এদের ধ্বংস করা, শরীর থেকে বের করে দেওয়া কিংবা অন্য উপায়ে কাজে লাগানো জরুরি। কেননা শরীরে এরা থাকলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হবে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে ক্ষতিকারক প্রোটিনকে কাজে লাগানো যায়? আমাদের দেহ অটোফেজির মাধ্যমে এদের কাজে লাগায়। অটোফেজি প্রক্রিয়াটি আমাদের শরীরকে কার্যকরী করে রাখে, দুর্বল অঙ্গাণু থেকে মুক্তি দেয় এবং ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে। শরীরে এ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত থাকলে ক্যানসার কিংবা নানাবিধ স্নায়বিক রোগ হতে পারে। নোবেল কমিটির মতে, ইয়োশিনোরির গবেষণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ক্যানসার থেকে শুরু করে নানাবিধ স্নায়বিক রোগগুলোর (যেমন ডেমনেশিয়া, পারকিনসন্স) ক্ষেত্রে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয় তা বুঝতে তার গবেষণাটি সহায়তা করে। এককথায় বলা যায়, অটোফেজি রোগ প্রতিরোধ করে এবং আমাদের যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে।
প্রথম জীবনে তিনি রসায়নে গবেষণা শুরু করেছিলেন। রসায়ন তাঁর কাছে আকর্ষণীয় না হওয়ায় তিনি কোষীয় জীববিদ্যায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু ভালো ফলাফল না পাওয়ায় এক সময় তাঁকে খুব কঠিন সময় পার করতে হয়েছিল। নতুন একটি ক্ষেত্রে কাজ করা তাঁর জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু তিনি ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সে জন্য, আজ থেকে ২৭ বছর আগে ইস্ট নিয়ে গবেষণার সময় ইউশিনোরি ওসুমি এই অটোফেজি ব্যবস্থা আবিষ্কার করে ফেলেন। তাঁর মতে, গবেষণায় ভালো ফলাফল আসবে তা কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন না, তবুও গবেষকেরা কাজ করে যান। কারণ তারা গবেষণায় আনন্দ পান ও এই জিনিসটাই গবেষণার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি গবেষণায় ঝুঁকি নেওয়া ও ব্যর্থতার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন। বিজ্ঞান সফলতা চায়, ব্যর্থতা গ্রহণ করে না, তিনি সে সাক্ষাৎকারে তরুণ গবেষকদের ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে পরবর্তী সুযোগ গ্রহণের উপায় দেখিয়েছিলেন।
জাপানি অধ্যাপক ইয়োশিনোরি, অটোফেজি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকারী জিন শনাক্ত করার পাশাপাশি এসব জিনে কোনো সমস্যা হলে কীভাবে রোগ সৃষ্টি হয় তাও দেখান। তাঁর গবেষণার মধ্য দিয়ে স্নায়ুজনিত ওই সব রোগে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয়, তা বোঝা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বার্ধক্যজনিত নানাবিধ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইয়োশিনোরি বলেছেন, অটোফেজি নিয়ে যখন তিনি কাজ শুরু করেছিলেন, তার চেয়ে এখন অনেক বেশি প্রশ্নের উত্তর জানা বাকি। এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা ভবিষ্যতে জানতে পারব। কেননা এখন আর তিনি একা নন। এ পৃথিবীতে হাজার হাজার গবেষক অটোফেজি নিয়ে কাজ করছেন। অটোফেজি প্রক্রিয়ার এ চলমান গবেষণা ভবিষ্যতে আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় যে অনেক সুফল নিয়ে আসবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

 

©

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 520 বার দেখা হয়েছে
17 এপ্রিল 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nirjon Barua (7,990 পয়েন্ট)

10,857 টি প্রশ্ন

18,557 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

858,112 জন সদস্য

36 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 36 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tanvir Zaman

    220 পয়েন্ট

  2. science_bee_group

    120 পয়েন্ট

  3. Muhammad Al-Amin

    110 পয়েন্ট

  4. Gbongapp

    100 পয়েন্ট

  5. 789pforsale

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন দাঁত ভাইরাস আকাশ গতি কান্না বিড়াল আম
...