ব্যায়াম আমাদের সবার মনেরই এক সুপ্ত আকর্ষণ। এই পোস্টটি যারা দেখছেন, তাদের প্রায় সবাই-ই জীবনে অন্তত একবার হলেও ব্যায়াম করার সংকল্প নিয়েছিলেন। তবে সময় আর মনোবল যোগাতে পারেন নি। অনেকে আবার ব্যায়ামের আগে-পড়ে এতো নিয়মকানুন মেনে খাওয়া দেখেও পিছু হটে গেছেন। তবে আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে, খালি পেটেও কি ব্যায়াম করা সম্ভব?
উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, সম্ভব। সকালবেলা উঠে আপনি খালি পেটেই চমৎকার কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে পারেন। আর আপনার লক্ষ্য যদি হয় ওজন কমানো, তাহলে তো আর কথাই নেই! গবেষণায় প্রমাণিত, ভরা পেটের তুলনায় খালি পেটে করা কার্ডিও ওজন হ্রাসে কয়েকগুণ বেশি ভূমিকা রাখে। তাই আপনার ইচ্ছা যদি ওজন কমানো বা হালকা-পাতলা মডেল টাইপ বডি বানানো হয়, তবে আপনি নিঃসঙ্কোচে সাতসকালে খালি পেটে ব্যায়াম শুরু করে দিতে পারেন।
স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের দেহের শক্তির প্রধান উৎস হলো শর্করাজাতীয় খাবার। ব্যায়াম বা যেকোনো শারীরবৃত্তীয় কাজের শক্তি আসে মূলত শর্করা থেকেই। কিন্তু আপনি যদি খালি পেটে ব্যায়াম করেন তখন আপনার দেহ বাধ্য হয় সঞ্চিত চর্বি থেকে শক্তি উৎপাদন করতে। ফলে আপনার দেহের অতিরিক্ত মেদ দ্রুত খরচ হতে থাকে। এছাড়া আপনার শরীরও তখন শর্করার তুলনায় চর্বি উৎস থেকেই শক্তি উৎপাদনে বেশি উৎসাহিত হয়। ফলে দেহে বাড়তি মেদ জমতে পারে না।
তবে আপনি যদি একজন পেশাদার বডিবিল্ডার হন, আপনার বডি ফ্যাট পার্সেন্টেজ যদি ৮-১০ বা এরও কম থাকে, তাহলে আপনার জন্য খালি পেটে ব্যায়াম নিষিদ্ধ। কারণ আপনার দেহে এমনিতেই চর্বি কম, এ অবস্থায় দেহে আবার শক্তির চাহিদা সৃষ্টি করলে দেহ তখন আপনার পেশিতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেনকে শক্তিতে রূপান্তর করা শুরু করবে। এতে আপনার পেশিক্ষয় হবে। অর্থাৎ ব্যায়াম করে শরীর বাড়বে না, উলটো পেশির ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই ব্যায়ামের ৪০-৪৫ মিনিট আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন পানীয় বা পরিপূরক খাদ্য গ্রহণ করে আপনাদের ব্যায়াম করা উচিত।
ক্রেডিট: মোঃ তৌফিক-ই-ইলাহী