না, মানুষের চোখ সরাসরি ফোটন দেখতে পায় না। চোখের রেটিনায় অবস্থিত আলোকসংবেদী কোষগুলি ফোটনগুলিকে শোষণ করে এবং এই শক্তিকে স্নায়বিক সংকেতে রূপান্তর করে। এই স্নায়বিক সংকেত মস্তিষ্কে প্রেরণ করা হয়, যেখানে সেগুলিকে দর্শন হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়।
অর্থাৎ, চোখ ফোটনগুলিকে সরাসরি দেখার পরিবর্তে, সেগুলিকে শোষণ করে এবং তারপর শোষিত শক্তিকে দর্শন হিসাবে রূপান্তরিত করে।
চোখের রেটিনায় দুটি ধরণের আলোকসংবেদী কোষ রয়েছে: রড কোষ এবং শঙ্কু কোষ। রড কোষগুলি কম আলোতে ভালো কাজ করে, এবং শঙ্কু কোষগুলি উজ্জ্বল আলোতে ভালো কাজ করে। রড কোষগুলি দৃশ্যমান আলোর নীল এবং সবুজ অংশে সবচেয়ে সংবেদনশীল, এবং শঙ্কু কোষগুলি লাল, সবুজ এবং নীল অংশে সমানভাবে সংবেদনশীল।
মানুষের চোখ দৃশ্যমান আলোর একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ফোটনগুলিকে শোষণ করতে পারে। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় 400 থেকে 700 ন্যানোমিটার। এর বাইরে যে কোনও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ফোটনগুলি মানুষের চোখ দ্বারা দেখা যায় না।
উদাহরণস্বরূপ, এক্স-রে এবং গামা রশ্মি হল উচ্চ শক্তির তড়িৎ চৌম্বক বিকিরণ যা মানুষের চোখ দ্বারা দেখা যায় না। এগুলি এমন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ফোটনগুলি দিয়ে তৈরি যা মানুষের চোখ দ্বারা শোষণ করা যায় না।
সুতরাং, উত্তর হল না, মানুষের চোখ সরাসরি ফোটন দেখতে পায় না। চোখ ফোটনগুলিকে শোষণ করে এবং তারপর শোষিত শক্তিকে দর্শন হিসাবে রূপান্তরিত করে।