"E-cig" বা ইলেক্ট্রনিক সিগারেট ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়। বলা হয়, যাঁরা তামাকের সিগারেটে আসক্ত, তাঁদের জন্য ই-সিগ একটি কার্যকর বিকল্প। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ই-সিগ দেখতে অবিকল সিগারেটর মতোই। কিন্তু এর ভেতরে তামাকের পরিবর্তে রয়েছে তরল নিকোটিন। বিশেষ ব্যবস্থায় একে উত্তপ্ত করা হয়। তখন এই সিগারেট থেকে ধোঁয়া বেরোয়। ধূমপায়ীরা এতে এমনভাবে সুখটান দেন, যেন আসল সিগারেট খাচ্ছেন। বাস্তবেও অনেকটা তাই। কারণ, আসল বা ইলেক্ট্রনিক, দুই ধরনের সিগারেটেই নিকোটিন রয়েছে। এবং এই নিকোটিন নেশা ধরায়। আর এই নিকোটিনই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তার পরও যেহেতু এতে সরাসরি তামাক ব্যবহার করা হয় না, তাই স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয় বলে একটি কথা চালু রয়েছে। এ বিষয়ে সুনিশ্চিতভাবে কিছু বলার আগে যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, তামাক থাকুক বা না থাকুক, নিকোটিন টানলে ক্যানসার, হূদেরাগ প্রভৃতি মারাত্মক রোগের আশঙ্কা থাকে। অনেকে বলেন দামি সিগারেটে কম ক্ষতি, কারণ, ভালো ফিলটার থাকে। এটাও ঠিক নয়। সিগারেটের দাম কত, সেটা কোনো বিষয় নয়, নিকোটিন যাচ্ছে কি না সেটাই আসল ব্যাপার।