আমাদের ত্বকের উপরের স্তরের নাম এপিডার্মিস। কাউকে কাতুকুতু দেবার জন্য স্পর্শ করলে এপিডার্মিসের নিচে স্নায়ু বা নার্ভের প্রান্তগুলো উদ্দীপিত হয়। এরপর এ সিগন্যাল যখন মানুষের ব্রেইনের কর্টেক্স অঞ্চলে পৌঁছায় তখনই আমরা হাসি। মূলত ব্রেইনের কর্টেক্স অংশে এসবের উদ্দীপনা গৃহীত হয়। আর এখানেই যখন স্নায়ু উদ্দীপনার সিগন্যাল পৌছায় তখনই আমরা হাসি!
তো,এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা নিজেরা নিজেদের সুড়সুড়ি দিলে কেন আমরা কেন হাসি না?
ওয়েল, আমাদের ব্রেইনের সেরেবেলাম অংশ আছে যেটা কিনা আমাদের বডির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে। যখন নিজেকে সুড়সুড়ি দেয়ার চেষ্টা করি তখন সেরেবেলাম আগে থেকেই ব্রেইনকে সতর্ক করে দেয়। আমাদের ব্রেন কিন্তু অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলোকে ফিল্টার করে ফেলে। এতে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে কাজে লাগানো যায়। নিজের হাতের ছোঁয়া ব্রেন অতটা প্রয়োজনীয় মনে করে না। তাই আমাদের মন এই অনুভূতিতে সচেতন হওয়ার আগেই ব্রেন এই তথ্যকে প্রত্যাখ্যান করে দেয়। তবে, এদিক-ওদিক থেকে সুড়সুড়ি এলে সেরেবেলাম আগে থেকে বুঝতে পারে না, তাই প্রতিরোধও করতে পারে না।