সাধারণ মানুষের ভাষায়, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সুবিধা দুটি কারণে পাওয়া যায়: তথ্য সঞ্চয় এবং তথ্য পরিবর্তন।
❒ তথ্য সঞ্চয়: ধরুন আপনাকে লাইট বাল্ব ব্যবহার করে কিছু হ্যাঁ বা না তথ্য বোঝাতে হবে, যেখানে জ্বালান বাল্ব মানে হ্যাঁ, এবং নেভান বাল্ব মানে না়। সুতারাং ১০২৪ টি হ্যাঁ বা না-কে প্রতিনিধিত্ব করতে আপনার ১০২৪ টি বাল্বের প্রয়োজন।
কিন্তু ইলেক্ট্রনগুলির স্পিনের মাধ্যমে (উপরে বা নীচে) এই ধরনের তথ্য বোঝানোর জন্য আপনার কেবলমাত্র ১০ টি ইলেকট্রনের দরকার, যেখানে ১০২৪ = ২ X ২ X ২ ...- ১০ বার.
একইভাবে, ১০২৪ X ১০২৪ টি হ্যাঁ/না তথ্যের জন্য ১০ + ১০ = ২০ টি ইলেক্ট্রনের দরকার। অথবা, ১০২৪ X ১০২৪ X ১০২৪ X ১০২৪ টি হ্যাঁ/না তথ্যের জন্য ২০ + ২০ = ৪০ টি ইলেকট্রনের প্রয়োজন, ইত্যাদি...
একমাত্র এই কারণে কোয়ান্টাম তত্ত্ব এত গুরুত্বপূর্ণ।
❒ তথ্য পরিবর্তন (কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম): ধরুন আপনি ১০২৪ টি বাল্বের অবস্থাকে উল্টোতে চান। সুইচ দিয়ে জলন্ত বাল্বকে নেভান বা নেভান বাল্বকে জ্বালাতে চান। আপনাকে ১০২৪ টি সুইচ চালু বা বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু মাত্র ১০ টি অপারেশনে ১০২৪ টি হ্যাঁ/না তথ্যকে উল্টোতে পারবেন, যদি তা ১০ টি ইলেক্ট্রনের স্পিনের মাধ্যমে সঞ্চিত থাকে। তবে, কিছু কোয়ান্টাম অ্যালগরিদমের ৩২ টি অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
একমাত্র এই কারণে কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম এত গুরুত্বপূর্ণ।