কি-বোর্ডের কি-গুলো কেন অ্যালফাবেটিক্যালি বা বর্ণানুক্রমে সাজানো থাকে না? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+29 টি ভোট
10,276 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (71,290 পয়েন্ট)
পূনঃট্যাগযুক্ত করেছেন

5 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (71,290 পয়েন্ট)
বর্তমান কি-বোর্ডের লে-আউট এসেছে টাইপরাইটার থেকে। একেবারে শুরুর টাইপরাইটারগুলোতে বর্ণানুক্রমেই কি-গুলো সাজানো ছিল। কিন্তু এতে কিছু সমস্যা দেখা গেলো। ইংরেজি ভাষায় ২৬টি বর্ণের সবগুলোর সমান সংখ্যক ব্যবহার হয় না। কিছু বর্ণের ব্যবহার অন্যগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এখন বেশি ব্যবহৃত বর্ণের কি-গুলো যদি একসাথে থাকে তাহলে যান্ত্রিক কি-বোর্ড জ্যাম হয়ে যায়। ফলে টাইপরাইটিং-এর গতি কমে যায় অনেকাংশে। এজন্যই qwerty লে-আউট ব্যবহার শুরু হয় যেখানে বেশি ব্যবহৃত বর্ণগুলোর অবস্থান অনেক দূরে দূরে l
দ্বিতীয় কারণ ergonomics, A B C D অক্ষর পাশাপাশি থাকলে আমাদের আঙুল ব্যথা হয়ে যেতো টাইপ করতে গিয়ে৷ এর ফলে দীর্ঘক্ষণ আমরা কাজ করতে পারতাম না৷ তাই বেশির ভাগ শব্দ লেখার সময় Vowel এবং Consonant গুলো যাতে কাছাকাছি থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়। খেয়াল করে দেখবেন কি-বোর্ড শুরু হয় Q লেটার দিয়ে এবং যথাক্রমে W E R T Y যা Qwerty উপরে বলা হয়েছে।
করেছেন
ধন্যবাদ তথ্যের জন্য ৷
করেছেন
Thanks
করেছেন
অনেক ধন্যবাদ
করেছেন
ধন্যবাদ
0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

সবসময়েই তো টাইপ করতে গিয়ে কীবোর্ড ব্যবহার করি আমরা। এই চিরায়ত ব্যবহার্য জিনিসটিতে অক্ষরগুলো কেন এলোমেলো করে দেয়া থাকে তা ভেবেছেন কখন? আজ সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই এই আয়োজন। 

এলোমেলো মনে হলেও আসলে এই কি-বোর্ডের অক্ষরগুলোর ভিন্ন ধরণ আছে। কোন কারণ ছাড়া এদের এমনভাবে সাজানো হয়নি! কম্পিউটারের এই টাইপিং-এর জনক আসলে টাইপরাইটার। টাইপরাইটারের কি-বোর্ডের আদলে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটারের কি-বোর্ড, আর এর আদলে আবার তৈরি হয়েছে স্মার্টফোনের কি-প্যাড। 

সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে টাইপরাইটার বাজারে আনে রেমিংটন এন্ড সন্স নামক কোম্পানি, আর এই টাইপরাইটারের কি-বোর্ড ছিল কোয়ার্টি কি-বোর্ড, এর ডিজাইনারের নাম ছিল ক্রিস্টোফার লাথাম শোলস। কি-বোর্ডের প্রথম অক্ষরটি হল Q, এর পর যথাক্রমে W, E, R, T, Y এবং আরও অন্যান্য অক্ষর।  এই প্রথম ৬টি অক্ষরকে একত্রে উচ্চারণ করে দেখুন তো, কি দাঁড়ায় “কোয়ার্টি” (QWERTY), আর এর থেকেই এই কি-বোর্ডের নামকরণ হয়েছে কোয়ার্টি কি-বোর্ড। 

মূলত ২টি কারণ উঠে আসে এক্ষেত্র।  যখন প্রথম কীবোর্ড আবিষ্কার হয়, তখন টাইপরাইটার ছিল একটি মেকানিকাল ডিভাইস, ফলে পাশাপাশি অক্ষর থাকলে জ্যাম হওয়ার সম্ভবনা ছিল তাই এমন ধরনের ব্যবস্থা করা হয়৷ দ্বিতীয় কারণ ergonomics, এ-বি-সি-ডি, অক্ষর পাশাপাশি থাকলে আমাদের আঙুল ব্যথা হয়ে যেতো টাইপ করতে গিয়ে৷ এর ফলে দীর্ঘক্ষণ আমরা কাজ করতে পারতাম না৷ তাই বেশির ভাগ শব্দ লেখার সময় Vowel এবং Consonant গুলো যাতে কাছাকাছি থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়৷

কী-বোর্ডের অনেক ধরণের হয়, যার ওপর স্পিডও নির্ভর করে৷ যেমন QWERTY. তবে QWERTZ এবং Dvorak-ও বেশ জনপ্রিয়৷ প্রথমে কীবোর্ডে Arrow, Insert, Delete. Home প্রভৃতি ছিল না। অধিকাংশ কি-বোর্ডের শীর্ষে (F1-F12) পর্যন্ত ফাংশনাল কি থাকে এবং নিউমারিক কি-প্যাড কি-বোর্ডের সর্বডানে থাকে।

তথ্যসূত্র : প্রিয় ওয়েবসাইট

0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)
ঠিক এলোমেলো নয়, বরং একটা নির্দিষ্ট বিন্যাস মেনেই কি বোর্ডের অক্ষরগুলোকে সাজানো হয়েছে। কিন্তু বিন্যাসটি বর্ণানুক্রমিক নয়।

কেন বর্ণানুক্রমিক নয় সেটা নিয়ে মোটামুটি দু'টি মতবাদ রয়েছে।

মতবাদ - ১ :

কিবোর্ডের অক্ষরগুলোর বিন্যাসের ধারণাটা এসেছে টাইপরাইটারের কিবোর্ড থেকে।
প্রথমদিকে টাইপরাইটারে কিন্তু ইংলিশ বর্ণমালা অনুসারেই কিবোর্ডের সকল কি বিন্যস্ত থাকতো। ঐভাবে টাইপ করতে সুবিধা হত ঠিকই কিন্তু বিন্যাসটি একটি বড় সমস্যাও ছিল। যেসব অক্ষর খুব ঘন ঘন ব্যবহৃত হত সেগুলো পাশাপাশি থাকত, ফলে দ্রুত টাইপ করতে গেলে কি গুলো জ্যাম হয়ে যেত। নিচে ঘন ঘন ব্যবহৃত হওয়া অক্ষরগুলোর একটি তুলনামূলক চিত্র দেখানো হল।


এই সমস্যা সমাধান করার জন্য ঘন ঘন ব্যবহৃত অক্ষরগুলোকে কি বোর্ডে দূরে দূরে স্থাপন করা হল যাতে করে টাইপ করার গতি ধীর হয়ে আসে। গতি ধীর হয়ে আসলে টাইপরাইটারের মেকানিকাল কিবোর্ডের কি জ্যাম ও কম হবে। অনেকে অবশ্য বলেন, টাইপিং গতি ধীর করার জন্য নয় বরং কি জ্যাম না করে টাইপিং গতি দ্রুত করার জন্য অক্ষর বিন্যাস বর্ণানুক্রমিক করা হয়নি। অক্ষরগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলে দুহাতে সমান তালে টাইপ করা যায়, ফলে গতি দ্রুততর হয়।

এই ধারণা থেকেই QWERTY কিবোর্ড তৈরি করা হয়। কিবোর্ডের ওপরের সারির বাম পাশের ছয়টি অক্ষর Q, W, E, R, T, Y এর কারণেই একে QWERTY বলা হয়। নিচের ছবিটি দেখুন তাহলেই বুঝবেন।


পরবর্তীতে কম্পিউটারের কি বোর্ড ডিজাইন করার সময় নতুন বেশকিছু অক্ষর বিন্যাস তৈরি করা হলেও সেগুলো QWERTY এর মত জনপ্রিয়তা পায়নি (যেমন - DVORAK, AZERTY প্রভৃতি)। যদিও কম্পিউটারের কিবোর্ডে ম্যাকানিকাল জ্যাম হবার সম্ভাবনা নেই, তারপরও টাইপরাইটারে আগে থেকেই ব্যবহার করে আসার কারণে QWERTY কিবোর্ডই ডিফল্ট কিবোর্ড হয়ে যায়।

মতবাদ - ২ :

কিবোর্ডের অক্ষর বিন্যাস বর্ণানুক্রমিক না হবার আরেকটি কারণ হচ্ছে মোর্স কোড।
আগের দিনে টেলিগ্রাফের লাইন দিয়ে প্রতিটি অক্ষরের জন্য "টরে-টক্কা" যে সংকেত পাঠানো হত সেটি হচ্ছে মোর্সকোড। যারা মোর্সকোড নিয়ে কাজ করতেন তাদের কাছে অক্ষরগুলো বর্ণানুক্রমিক থাকলে সেগুলো নিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে যেত। মোর্সকোডের তালিকা নিচে দেয়া হল:


ওপরের ছবি থেকে বোঝা যায় যে, পাশাপাশি বর্ণগুলোর মোর্সকোডও কাছাকাছি। যার ফলে টাইপরাইটারে টািপ করার সময় বর্ণগুলোকে শনাক্ত করতে বেশ কষ্ট করতে হত। সে কারণে টেলিগ্রাম এর কথাগুলো লেখার জন্য যখন টাইপরাইটার ডিজাইন করা হয়েছিল, তখন পাশাপাশি অক্ষরগুলোকে কাছাকাছি না রেখে দূরে দূরে রেখে কিবোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, সে থেকেই কিবোর্ডের অক্ষর বিন্যাস বর্ণানুক্রমিক না হয়ে অন্য রকম বিন্যাসের হয়েছিল।
0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
যখন প্রথম কীবোর্ড আবিষ্কার হয়, তখন টাইপরাইটার ছিল একটি মেকানিকাল ডিভাইস, ফলে পাশাপাশি অক্ষর থাকলে জ্যাম হওয়ার সম্ভবনা ছিল তাই এমন ধরনের ব্যবস্থা করা হয়৷ দ্বিতীয় কারণ ergonomics, এ-বি-সি-ডি, অক্ষর পাশাপাশি থাকলে আমাদের আঙুল ব্যথা হয়ে যেতো টাইপ করতে গিয়ে৷ এর ফলে দীর্ঘক্ষণ আমরা কাজ করতে পারতাম না৷ তাই বেশির ভাগ শব্দ লেখার সময় Vowel এবং Consonant গুলো যাতে কাছাকাছি থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়৷

কী-বোর্ডের অনেক ধরণের হয়, যার ওপর স্পিডও নির্ভর করে৷ যেমন QWERTY. তবে QWERTZ এবং Dvorak-ও বেশ জনপ্রিয়৷ প্রথমে কীবোর্ডে Arrow, Insert, Delete. Home প্রভৃতি ছিল না। অধিকাংশ কি-বোর্ডের শীর্ষে (F1-F12) পর্যন্ত ফাংশনাল কি থাকে এবং নিউমারিক কি-প্যাড কি-বোর্ডের সর্বডানে থাকে
0 টি ভোট
করেছেন (4,150 পয়েন্ট)

বর্তমান কি-বোর্ডের লে-আউট এসেছে টাইপরাইটার থেকে। একেবারে শুরুর টাইপরাইটারগুলোতে বর্ণানুক্রমেই কি-গুলো সাজানো ছিল। কিন্তু এতে কিছু সমস্যা দেখা গেলো। ইংরেজি ভাষায় ২৬টি বর্ণের সবগুলোর সমান সংখ্যক ব্যবহার হয় না। কিছু বর্ণের ব্যবহার অন্যগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

এখন বেশি ব্যবহৃত বর্ণের কি-গুলো যদি একসাথে থাকে তাহলে যান্ত্রিক কি-বোর্ড জ্যাম হয়ে যায়। ফলে টাইপরাইটিং-এর গতি কমে যায় অনেকাংশে। এজন্যই qwerty লে-আউট ব্যবহার শুরু হয় যেখানে বেশি ব্যবহৃত বর্ণগুলোর অবস্থান অনেক দূরে দূরে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+24 টি ভোট
2 টি উত্তর 381 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,155 বার দেখা হয়েছে
06 অগাস্ট 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Tanzila (460 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 661 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 329 বার দেখা হয়েছে

10,828 টি প্রশ্ন

18,535 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

835,910 জন সদস্য

71 জন অনলাইনে রয়েছে
14 জন সদস্য এবং 57 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. mehrob.durjoy

    140 পয়েন্ট

  2. Curious

    140 পয়েন্ট

  3. Shihabuddin

    130 পয়েন্ট

  4. Shoumik

    110 পয়েন্ট

  5. forestborder7

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...