মায়ো ক্লিনিকের গবেষণা অনুযায়ী, ১০-২৫ বছর বয়সীদের ভেতর বেশি দেখা যায় সমস্যাটি। স্লিপ অ্যাপ্নি কিংবা নার্কোলেপ্সি ধরনের নিদ্রাজনিত রোগে আক্রান্তদের বেলায় বোবায় ধরার হার বেশি বলে নিউ ইয়র্কের মন্টেফিওর হেলথ সিস্টেমের স্লিপ -ওয়েক ডিজঅর্ডার সেন্টারের চিকিৎসক ডা. শেলবি হ্যারিস উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েল ডেনিস ৮৬২ জন ভাই-বোনের মধ্যে চালানো গবেষণার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তে আসেন যে, বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসে বংশগতি বা জিনগত যোগ রয়েছে। ২০১১ সালে পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে চালানো এক গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বের ৭.৬ ভাগ মানুষ এ সমস্যায় ভোগেন। বিষণ্ণতা বা উদ্বিগ্নতার রোগীদের শতকরা প্রায় ৩২ ভাগের ভেতরেই বোবায় ধরার সমস্যাটি দেখা যায়। এর বাইরে সাধারণভাবে যেসব কারণে বোবা ধরা দেখা যায়, সেগুলো হলো-
- কম ঘুমানো।
- ঘুমের সময় পরিবর্তন।
- উপুড় হয়ে ঘুমানো।
- মাদকাসক্তি।
- বাইপোলার ডিজঅর্ডার বা এ জাতীয় মানসিক সমস্যা থাকা।
- নার্কোলেপ্সি বা অতি ঘুমকাতরতা, ঘুমের মধ্যে হাত-পা ছোঁড়া বা হাঁটা সহ অন্যান্য নিদ্রাজনিত রোগ থাকা।
- সক্রিয়তা বর্ধক ঔষধ ব্যবহার।
লেখক: Tariq Ul-Islam