না! এই পুরো ব্যাপারটাই একটা মিথ/ভ্রান্তধারণা। উটপাখির কোন বাসা থাকে না। এরা বালিতে ডিম পাড়ে। বিভিন্ন পশু এই ডিম নষ্ট করে ফেলার ধান্ধায় থাকে। তাই, উটপাখি বালিতে গর্ত করে ডিম গুলো লুকিয়ে রাখে। তাছাড়া, বালির নিচের উষ্ণ পরিবেশে ডিমের তা-দেয়ার কাজটাও কিছুটা হয়ে যায়।
মা উটপাখি প্রায়ই বালির নীচের গর্তে মাথা ঢুকিয়ে ডিমগুলো নাড়া-চাড়া করে। সেই দৃশ্য দূর থেকে দেখলে মনে হবে যে, উটপাখিটা বালির মধ্যে মাথা গুজেঁ রেখেছে। যদিও বাস্তবে সে বিপদ থেকে পালাতে কখনোই এই কাজ করে না।
কিছু গবেষকদের মতে, উটপাখির হজমে সহায়তার জন্য ছোট-ছোট নুড়ি পাথর খেয়ে থাকে। তাই যেকোন বয়সের উটপাখিকেও মাঝে মাঝে বালির মধ্যে গর্ত করে পাথর খুজঁতে দেখা যায়। কিন্তু, বিপদ এড়াতে মাথা লুকিয়ে থাকার নিদর্শন কোন প্রাণিবিদ আজ পর্যন্ত লক্ষ করেননি।
তাছাড়া উটপাখি ঘন্টায় ৭০কি.মি বেগে দৌঁড়াতে পারে,সুতরাং এমন দ্রুতগতি থাকা সত্ত্বেও বিপদ থেকে বাঁচতে তাকে মাথা গুঁজে রাখতে হবে না। অন্যদিকে এর একটা লাথিতে সিংহ পর্যন্ত কাবু হয়ে যায়। তাহলে সে কেন এইভাবে বিপদকে উপেক্ষা করবে? এমন অভ্যাস শুধু মানুষের মধ্যেই আছে,শুধু শুধু উটপাখির মতো প্রাণীকে এইভাবে অপমান করার মানে হয়না।
#Zaima