বায়ুমণ্ডলে এতো গ্যাস থাকা সত্ত্বেও কেবল অক্সিজেনই কীভাবে আমরা গ্রহণ করি, যেখানে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে সর্বোচ্চ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
1,270 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (135,490 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করি ও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইড পরিত্যাগ করি। প্রশ্ন হল, আমরা প্রশ্বাস নেওয়ার সময়ে কী বাতাস থেকে ফিল্টার করে শুধু অক্সিজেন গ্রহণ করি, নাকি নাইট্রোজেন ও অন্যান্য গ্যাস মিশ্রিত বায়ুই গ্রহণ করি? এর এককথায় উত্তর হল- শুধু অক্সিজেন নয়, নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় আমরা নাইট্রোজেন ও অন্যান্য গ্যাস মিশ্রিত বায়ুই গ্রহণ করি। কারণ আমাদের নাকে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যাতে শুধুমাত্র অক্সিজেন গ্রহণ করা যায়। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে তাহলে ফিল্টারের কাজটা কোথায় হয়? সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে কয়েকটা কথা জেনে নেওয়া দরকার।

বাতাসে যা থাকে

আয়তনের হিসেবে বাতাসে ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন, ২০.৯৫% অক্সিজেন, ০.৯৩% আর্গন, ০.৩৯% কার্বন ডাই অক্সাইড এবং স্বল্প পরিমান অন্য গ্যাস থাকে। এ ছাড়াও বাতাসে বিভিন্ন মাত্রার জলীয় বাস্প থাকে। যেমন, গড়ে সমুদ্রতলে ১% ও সামগ্রিক বায়ুমণ্ডলে ০.৪%। আমরা যখন শ্বাস গ্রহণ করি তখন আমাদের ফুসফুস প্রসারিত হয় এবং আমাদের মুখ ও নাক দিয়ে শরীরের ভেতরে বাতাস ঢুকে পড়ে। এখন এই বাতাসে তার সব কয়েকটি উপাদানই মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। কারণ নাকের মধ্যে অক্সিজেনকে আলাদা করে গ্রহণ করার কোনও ব্যবস্থা নেই। আর এরা গন্ধহীন বলে বোঝাও যায় না, ঠিক কী গ্রহণ করা হল। তাই নাককে দারোয়ান বলা যাবে না। তবে নাকে সিলিয়া (নাকের চুল) থাকে। এরা কঠিন পদার্থকে আটকে দিতে পারলেও গ্যাসকে পারে না।

তাহলে কি ভাবে অক্সিজেন বাছাইয়ের কাজ হয়

নাক ও মুখ দিয়ে নেওয়া বাতাস আমাদের শ্বাসনালি হয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ব্রঙ্কিয়াল টিউবের ভেতর দিয়ে সেই বাতাস শেষ অব্দি অ্যালভিওলাই (বায়ু থলি)-তে ঢোকে। এখানেই অক্সিজেন গ্রহণের মূল কাজটি সম্পন্ন হয়। কারণ অ্যালভিওলাই-এর সরু দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র বাতাসের অক্সিজেনের সংশ্লিষ্ট ক্যাপিলারি (রক্তবাহ)-তে প্রবেশাধীকার মেলে। রক্তের লোহিত কণিকায় থাকা হিমোগ্লোবিন বায়ু থলি থেকে রক্তে অক্সিজেনকে বাহিত হতে সাহায্য করে। একটা কথা জেনে রাখা ভাল, খুবই সামান্য পরিমান নাইট্রোজেনও কিন্তু রক্তে মিশ্রিত হয়। এই নাইট্রোজেন নিস্ক্রিয় অবস্থায় থাকে এবং শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। পরে অবশ্য সেই নাইট্রোজেন প্রশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। ভেবে দেখুন, যখন আঙুল মটকান বা ঘাড় নাড়ান তখন যে শব্দ শুনতে পান তা আসলে সন্ধিস্থল থেকে বেরিয়ে আসা নাইট্রোজেনের কারণেই ঘটে।

 

collected

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,255 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 516 বার দেখা হয়েছে

10,854 টি প্রশ্ন

18,554 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

856,257 জন সদস্য

23 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 23 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. science_bee_group

    120 পয়েন্ট

  2. dylanmanhkhang

    100 পয়েন্ট

  3. cns0269

    100 পয়েন্ট

  4. ok8386forum

    100 পয়েন্ট

  5. xx88brandcom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...