সাগরের নীল জলরাশি আর নীল আকাশের আমাদের এই পৃথিবী। মাঝখানে সবুজের সমারোহ। মহাকাশ অন্ধকার কালো, কিন্তু পৃথিবীর আকাশ নীল কেন? আজকে আমরা এই বিষয়ের ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করব।
পৃথিবী চারদিকে বায়ুমণ্ডল দ্বারা বেষ্টিত। বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণ, তবে এসকল গ্যাসের মধ্যে বেশিরভাগ নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন।
মূলত এই বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলোর বিক্ষেপণের জন্য আকাশকে নীল দেখায়।
বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলোর বিক্ষেপণের জন্য আকাশকে নীল দেখায়
সাদা আলো বিভিন্ন রঙের দ্বারা তৈরি, নির্দিষ্ট করে বললে সাদা আলো সাতটি মূল রং এর মিশ্রণ, যেমনটা আমরা রামধনুতে দেখে থাকি। এই রঙগুলির প্রত্যেকটি একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গে ভ্রমণ করে, তবে তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিবর্তিত হলে আলোর রঙ পরিবর্তিত হয়ে যায়। সাদা আলোর সাতটি রঙ এর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বড়, অন্যদিকে নীল আলোতে খুব ছোট দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য থাকে।
রঙিন আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যখন সূর্য থেকে আলো আমাদের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তরঙ্গগুলি গ্যাসের অণুগুলির সাথে সংঘর্ষ হয়। লাল এবং হলুদ রঙের মতো দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যগুলি গ্যাসের অণুগুলির সাথে সংঘর্ষ কম হয়, অর্থাৎ এদের বিক্ষেপণ কম হয়। ফলে আলো চারদিক ছড়িয়ে না পরে সোজা হয়ে যায় এবং আমাদের কাছে “নিয়মিত” সূর্যের আলো হিসাবে প্রদর্শিত হয়।
নীলের মতো খাটো তরঙ্গদৈর্ঘ্যগুলি বায়ুমণ্ডলের গ্যাসের অণুগুলির সাথে অধিক সংঘর্ষ ঘটে ফলে এর বিক্ষেপণ বেশি হয়। এতে করে নীল আলো বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পরে। নীল আলোর এমন বিক্ষেপণের জন্য সম্পূর্ণ আকাশ নীল দেখায়।