ফাঁসি দিলে এমন কিছু শারীরিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যার কারণে মানুষ মারা যায়।সেগুলো হচ্ছেঃ
১)মানবশরীরে ৭ টা সারভাইকাল ভার্টিব্রা থাকে(বাংলা গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা সম্ভবত)। তো ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় এই সারভাইকাল ভার্টিব্রাগুলোর দ্বিতীয় নম্বরটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়,যার ফলে মেডুলা অবলংগাটা(সুষুম্না শীর্ষক)র শেষঅংশে চাপ পড়ে।এতে শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করার সেন্টার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২)ক্যারোটিড ধমনি আমাদের মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন করে থাকে।ফাঁসি দেওয়াতে এই ধমনি চাপের কারণে রক্তসঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়।আর মানবশরীরের কোন টিস্যুই অক্সিজেন এর সরবরাহ ছাড়া বাঁচতে পারে না।ফলে সেরেব্রাল হাইপোক্সিয়া হয়(মস্তিষ্কে অক্সিজেন এর অভাব)। মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যেতে শুরু করে।
৩)এয়ারওয়ে(বাতাস সঞ্চালনের পথ) বন্ধ হয়ে যায়।কারণ,ফাঁসি দেওয়ার সময় মাথা এমন এক অবস্থানে থাকে যেখান থেকে শ্বাস নেওয়া দুরূহ ব্যাপার।
৪)সারভাইকাল ফ্রাকচার হয়(বাংলায় ঘাড় ভেঙে যাওয়া সম্ভবত)। এতে স্পাইনাল কর্ড মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৫)ঘাড়ের কাছে ক্যারোটিড সাইনাস নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থাকে.…...এটি থেকে মানুষের হৃদপিন্ডকে নিয়ন্ত্রণ করার নার্ভ এর উত্তেজনা আসে।এতে যখন চাপ পড়ে তখন হার্টের এর রক্তসঞ্চালন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেসেল এর ওপরেও অনেক চাপ পড়ে।ফলে মানুষের কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়( হৃদপিন্ড কাজ করা বন্ধ করে দেয়)।
৬)জুগুলার শিরা মস্তিষ্ক থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড জোগাড় করে নিয়ে আসে।ফাঁসিতে ঝোলানো হলে এই শিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এজন্য মস্তিষ্কে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।এতে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মারা যেতে শুরু করে।
collected