অনেক সময় রাতে মনে হয় যেন নক্ষত্র ছুটে যাচ্ছে বা মনে হয় কোনো নক্ষত্র যেন এইমাত্র খসে পড়ল।
এই ঘটনাকে নক্ষত্র পতন বলে।
এগুলো আসলে গ্রহাণু/ধুমকেতুর খণ্ডাবশেষ। এই বস্তুগুলোকে উল্কা বলা হয়। মহাকাশে নানা ধরণের ছোটো ছোটো মহাকাশীয় বস্তু ভেসে বেড়ায়। এই বস্তুগুলো যখন কোন গ্রহ-নক্ষত্রের কাছাকাছি চলে আসে, তখন এদের আকর্ষণে বস্তুগুলো এদের দিকে চলে আসে।রাতের আকাশে ছুটে চলা উল্কার কণাগুলোকে অনেকে Shooting Star ও বলে। আসলে এগুলো মোটেও নক্ষত্র নয়।
এদের ব্যাস ধূলিকণার সমান থেকে এক মিটার সমান পর্যন্ত হতে পারে। যখন এগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকে, তখন এদের গতি থাকে ঘণ্টায় ৭০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। প্রচণ্ড গতি আর বায়ুমণ্ডলের ঘর্ষণের ফলে এরা অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে জ্বলে ওঠে, আর তার গতি পথে একটা আগুনের ধারা তৈরি করে।
সাধারণত, পৃথিবীর কক্ষপথ এবং ধূমকেতকের কক্ষপথ একে অপরের তুলনায় কিছুটা কাত হয়ে থাকে। তাই পথগুলি কেবল একদিকে একে অপরকে ছেদ করে! ফলে ঐ সব জায়গা থেকে পৃথিবীর আকর্ষণে গ্রহাণুর কণা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে আসে।
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে উল্কাবৃষ্টি হয়। আকাশে তাকালে তখন মনে হয় অনেকগুলো তারা বুঝি খসে পড়ছে।
এ বছরও এর ব্যতিক্রম না। চাইলে সেই নির্দিষ্ট সময়ে আকাশে চোখ রাখতে পারেন।
অর্থাৎ রাতে অনেক আলোকবিন্দু মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায় এগুলোকে নক্ষত্র বলা হয়।
• নক্ষত্র প্রকৃতপক্ষে একটি জ্বলন্ত পিণ্ড এদের আলো উত্তাপ আছে
• আর যখন রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় মনে হয় যেন ছুটে যাচ্ছে বা কোনো নক্ষত্র যেন এইমাত্র খসে পড়ল। এই ঘটনাকে নক্ষত্র পতন বা তারাখসা বলে ।