ভিটামিন A,B,C,D,E এবং K। প্রশ্ন হচ্ছে F,G,H,I,J রেখে একেবারে ভিটামিন K কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+22 টি ভোট
781 বার দেখা হয়েছে
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
আমাদের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তথা খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন অত্যাবশকীয়। ভিটামিনগুলোর নাম কেনো ইংরেজি বর্ণমালার A, B, C, K, D দিয়ে? কেন ভিটামিন-E এর পর ভিটামিন-F না এসে ভিটামিন-K এলো? ছোটোবেলা থেকে এসব প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক খেয়ে থাকলে নিচের লেখাটি আপনার জন্যই।

অনেক আগে থেকেই ধারণা করা হতো খাদ্যের সাথে আমাদের দেহের পুষ্টি ও দৈহিক বৃদ্ধির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বৈজ্ঞানিক ভাবে এ ধারণার সত্যতা মিলে ১৭৭২ সালে, খাবারে নাইট্রোজেন উপাদান আবিষ্কারের পথ ধরে। পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পোল্যান্ডের রসায়নবিদ "ক্যাসিমির ফাঙ্ক" কবুতরের উপর একটি গবেষণা করেন। কবুতরগুলোকে তিনি কয়েকদিন যাবৎ সাদা ভাত খেতে দিলে দেখা যায় সেগুলোকে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক গবেষণার পর তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, প্রোটিন নয় বরং নাইট্রোজেন ঘটিত উপাদান যার নাম তিনি দেন Vitamin, এর অভাবে কবুতরগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। Life এর ল্যাটিন সমার্থক শব্দ "Vita" এবং নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ "amine" মিলে এই নামকরণ "Vitamin" (Science Bee)

পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন চর্বিজাত খাদ্যে একটি অতিরিক্ত ( A-ccessory) উপাদানের উপস্থিতিতে প্রাণী দ্রুত বড় হয়। এ থেকে নামকরণ করা হয় Vitamin-A. পরবর্তীতে বেরিবেরি (beriberi) রোগের সূত্রপাত আবিষ্কার করতে গিয়ে এমন এক খাদ্যপ্রাণের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা যার নাম দেন Vitamin-B. এভাবে পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হচ্ছিলো। অবশেষে আমাদের দেহে রক্ত তঞ্চনের গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে আরেকটি ভিটামিন আবিষ্কৃত হয়। বিজ্ঞানীরা প্রথমে Vitamin-F নামকরণ করতে চাইলেও আবিষ্কারক অনুরোধ করেন Vitamin-K নামকরণের। কেননা রক্তের "কোয়াগুলেশনে" ফ্যাক্টরটি সহায়ক! এভাবেই নামকরণ হয়ে এসেছে আমাদের জানা ভিটামিনগুলোর।

তবে এখনো নতুন ভিটামিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেক দশক ধরে নতুন কোনো ভিটামিন আবিষ্কৃত না হলেও ভিটামিনের অভাবজনিত রোগের নিরাময়, ভিটামিনের প্রাপ্তিস্থান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে।

Mehedi Hasan
Team Scince Bee

Source: https://www.nationalgeographic.com/science/article/vitamin-names-vitamine-beriberi-nutrition
করেছেন (100 পয়েন্ট)
কিন্তু কোয়াগুলেশন শব্দের ইংরেজি বানান হলো Quagulation । তাহলে Vit-Q না বলে Vit-K কেন?
+5 টি ভোট
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)
ওইগুলাও আছে,তবে অন্য নামে...
★Vitamin F=essential fatty acid (omega 3&6)
★Vitamin G= Riboflavin
★Vitamin H= Biotin
★Vitamin I = Ibuprofin
★Vitamin J = Choline
0 টি ভোট
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)
আমাদের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তথা খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন অত্যাবশকীয়। ভিটামিনগুলোর নাম কেনো ইংরেজি বর্ণমালার A, B, C, K, D দিয়ে? কেন ভিটামিন-E এর পর ভিটামিন-F না এসে ভিটামিন-K এলো? ছোটোবেলা থেকে এসব প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক খেয়ে থাকলে নিচের লেখাটি আপনার জন্যই।

অনেক আগে থেকেই ধারণা করা হতো খাদ্যের সাথে আমাদের দেহের পুষ্টি ও দৈহিক বৃদ্ধির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বৈজ্ঞানিক ভাবে এ ধারণার সত্যতা মিলে ১৭৭২ সালে, খাবারে নাইট্রোজেন উপাদান আবিষ্কারের পথ ধরে। পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পোল্যান্ডের রসায়নবিদ "ক্যাসিমির ফাঙ্ক" কবুতরের উপর একটি গবেষণা করেন। কবুতরগুলোকে তিনি কয়েকদিন যাবৎ সাদা ভাত খেতে দিলে দেখা যায় সেগুলোকে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক গবেষণার পর তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, প্রোটিন নয় বরং নাইট্রোজেন ঘটিত উপাদান যার নাম তিনি দেন Vitamin, এর অভাবে কবুতরগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। Life এর ল্যাটিন সমার্থক শব্দ "Vita" এবং নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ "amine" মিলে এই নামকরণ "Vitamin"

পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন চর্বিজাত খাদ্যে একটি অতিরিক্ত ( A-ccessory) উপাদানের উপস্থিতিতে প্রাণী দ্রুত বড় হয়। এ থেকে নামকরণ করা হয় Vitamin-A. পরবর্তীতে বেরিবেরি (beriberi) রোগের সূত্রপাত আবিষ্কার করতে গিয়ে এমন এক খাদ্যপ্রাণের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা যার নাম দেন Vitamin-B. এভাবে পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হচ্ছিলো। অবশেষে আমাদের দেহে রক্ত তঞ্চনের গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে আরেকটি ভিটামিন আবিষ্কৃত হয়। বিজ্ঞানীরা প্রথমে Vitamin-F নামকরণ করতে চাইলেও আবিষ্কারক অনুরোধ করেন Vitamin-K নামকরণের। কেননা রক্তের "কোয়াগুলেশনে" ফ্যাক্টরটি সহায়ক! এভাবেই নামকরণ হয়ে এসেছে আমাদের জানা ভিটামিনগুলোর।

তবে এখনো নতুন ভিটামিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেক দশক ধরে নতুন কোনো ভিটামিন আবিষ্কৃত না হলেও ভিটামিনের অভাবজনিত রোগের নিরাময়, ভিটামিনের প্রাপ্তিস্থান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে।

Mehedi Hasan

Team Scince Bee

Source: https://www.nationalgeographic.com/science/article/vitamin-names-vitamine-beriberi-nutrition
0 টি ভোট
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)
আমাদের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তথা খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন অত্যাবশকীয়। ভিটামিনগুলোর নাম কেনো ইংরেজি বর্ণমালার A, B, C, K, D দিয়ে? কেন ভিটামিন-E এর পর ভিটামিন-F না এসে ভিটামিন-K এলো? ছোটোবেলা থেকে এসব প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক খেয়ে থাকলে নিচের লেখাটি আপনার জন্যই।

অনেক আগে থেকেই ধারণা করা হতো খাদ্যের সাথে আমাদের দেহের পুষ্টি ও দৈহিক বৃদ্ধির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বৈজ্ঞানিক ভাবে এ ধারণার সত্যতা মিলে ১৭৭২ সালে, খাবারে নাইট্রোজেন উপাদান আবিষ্কারের পথ ধরে। পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পোল্যান্ডের রসায়নবিদ "ক্যাসিমির ফাঙ্ক" কবুতরের উপর একটি গবেষণা করেন। কবুতরগুলোকে তিনি কয়েকদিন যাবৎ সাদা ভাত খেতে দিলে দেখা যায় সেগুলোকে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক গবেষণার পর তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, প্রোটিন নয় বরং নাইট্রোজেন ঘটিত উপাদান যার নাম তিনি দেন Vitamin, এর অভাবে কবুতরগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। Life এর ল্যাটিন সমার্থক শব্দ "Vita" এবং নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ "amine" মিলে এই নামকরণ "Vitamin"

পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন চর্বিজাত খাদ্যে একটি অতিরিক্ত ( A-ccessory) উপাদানের উপস্থিতিতে প্রাণী দ্রুত বড় হয়। এ থেকে নামকরণ করা হয় Vitamin-A. পরবর্তীতে বেরিবেরি (beriberi) রোগের সূত্রপাত আবিষ্কার করতে গিয়ে এমন এক খাদ্যপ্রাণের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা যার নাম দেন Vitamin-B. এভাবে পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হচ্ছিলো। অবশেষে আমাদের দেহে রক্ত তঞ্চনের গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে আরেকটি ভিটামিন আবিষ্কৃত হয়। বিজ্ঞানীরা প্রথমে Vitamin-F নামকরণ করতে চাইলেও আবিষ্কারক অনুরোধ করেন Vitamin-K নামকরণের। কেননা রক্তের "কোয়াগুলেশনে" ফ্যাক্টরটি সহায়ক! এভাবেই নামকরণ হয়ে এসেছে আমাদের জানা ভিটামিনগুলোর।

তবে এখনো নতুন ভিটামিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেক দশক ধরে নতুন কোনো ভিটামিন আবিষ্কৃত না হলেও ভিটামিনের অভাবজনিত রোগের নিরাময়, ভিটামিনের প্রাপ্তিস্থান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে।

Mehedi Hasan
Team Scince Bee

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,496 বার দেখা হয়েছে
+27 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,584 বার দেখা হয়েছে
11 অক্টোবর 2020 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Niladry (15,170 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 511 বার দেখা হয়েছে
26 অক্টোবর 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,844 টি প্রশ্ন

18,545 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

847,149 জন সদস্য

25 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. ganga-clubb.com

    100 পয়েন্ট

  3. remcuasifini

    100 পয়েন্ট

  4. ganga-club.org

    100 পয়েন্ট

  5. 5679cjcom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...