উচ্চমান সম্পন্ন ঘুম একজন মানুষের মানসিক সাস্থ্য ও শারীরিক সাস্থ্য এর জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
মানুষের দেহের বায়োলজিকাল ঘড়ি এর বিপরীতে কাজ করা সকল মানুষের ক্ষেত্রে কঠিন কাজ ।
কারো ইচ্ছা করে রাত জাগা উচিত নয় । কিন্তু অনেকের রাতে নাইট ডিউটি পালন করতে হয় এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব ।
১. ক্যাফেইন জাতীয় খাবার ( যেমন: কফি, এনার্জি ড্রিংকস, চা ) এড়িয়ে চলা। কাজের সময় পান করা অথবা গ্রহণ করা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার বাসায় আসার পর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় । যদি খুবই প্রয়োজন হয় ক্যাফেইন গ্রহণ করার তাহলে রাতের কাজের শেষ কয়েক ঘন্টা ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা ।
২. বাসায় আসার পর ঘরের মাঝে যেনো কোনো শক্তিশালী আলো প্রবেশ না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা । যতদূর সম্ভব অন্ধকার ঘরে ঘুমানো ।
৩. রাতে কাজ করার সময় অনেক আলোর মাঝে থাকা থাকা । রাতে যদি আমরা অনেক আলোর মাঝে থাকি তাহলে আমাদের শরীর রাতকে দিন মনে করবে এবং ডিউটি এর শেষের দিকে শরীর প্রাকৃতিক ভাবে ক্লান্ত অনুভূত হবে এবং ঘুম চলে আসবে ।
৪. দৈনিক শারীরিক ব্যায়াম করা । দিনের যেকোনো সময় ৩০ মিনিট এর মত হাঁটাহাঁটি করা অথবা যেকোনো হালকা ব্যায়াম আমাদের মানসিক ও শারীরিক সাস্থ্য উন্নত করে ।
৫. ধূমপান ত্যাগ করা । ধূমপান এর মধ্যে থাকে নিকোটিন এই নিকোটিন আমাদের শরীরে insomnia এর মত রোগ সৃষ্টি করে । যা মানুষের ঘুম সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটায় ।
৬. ফোন বন্ধ রাখা অথবা ফোন এবং যেকোনো প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা । ফোন অথবা যেকোনো স্ক্রীন থেকে নির্গত ব্লু লাইট আমাদের ঘুম সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটায় । এজন্য ঘুম এর আগে যথা সম্ভব ফোন এড়িয়ে চলা উচিত ।