সাপ কোনো কিছুকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে, তখন আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে কামড়ে দেয়। এদের তালুতে 'জ্যাকবসনের সংবেদী অঙ্গ' নামক (Jacobson's sense organ) একটি অঙ্গ থাকে, যার মাধ্যমে পরিবেশে বিভিন্ন বস্তু/জীবের উপস্থিতি সনাক্ত করে।
সাপের বিষ মূলত সাপের লালা এবং বিষগ্রন্থি হলো বিশেষায়িত লালাগ্রন্থি। এই বিষগ্রন্থিগুলো চোখের পেছনে, নিচের দিকে থাকে। গ্রন্থি থেকে নালির মাধ্যমে বিষ দাঁতে সঞ্চারিত হয়। যখন সাপ কামড় দেয়, তখন ওই লম্বা দাঁতের নালির মাধ্যমে বিষ আক্রান্তের দেহে প্রবেশ করে। সাপের বিষ একটি প্রোটিন জাতীয় পদার্থ যার প্রধান উপাদান জুটক্সিন (Zootoxin)।
সাপের বিষ আক্রান্ত স্থান হতে রক্ত এবং লসিকার মাধ্যমে দেহের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ক্রিয়া শুরু করে দেয়। স্বাভাবিক ত্বকে এর কোনো প্রভাব নেই। সাপের বিষ খেলে হজম হয়ে যায়।