Fauzia Afrin Aurin-
প্রায় সময় গভীর রাতে বা নির্জন দুপুরে শোনা যায় বিড়ালের কান্নার শব্দ!
বিড়াল কি সত্যিই কাঁদে?
অনেকেই মনে করে অশরীরী কোন কিছুর অস্তিত্বের আভাস পেয়েই কান্নার রোল তোলে তারা !
বহু মানুষের মধ্যেই এমন বিশ্বাস থাকলেও বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা।
বিড়ালের এই কান্নার পেছনে রয়েছে তাদের এক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
বিজ্ঞান বলছে, পুরুষ ও স্ত্রী বিড়ালের যৌনমিলন প্রক্রিয়া এমনই বিচিত্র যে তার জেরেই এমন ঘটনা ঘটে।
সঙ্গমের সময় পুরুষ ও স্ত্রী বিড়াল উভয়ই পূর্ণ সুখ উপভোগ করে। কিন্তু পুরুষ বিড়ালের বীর্যস্খলনের পরই হয় সমস্যার শুরু! ScienceBee
পুরুষ বিড়াল তার পুরুষাঙ্গটি বের করে নিতে চাইলেও তা সহজে বের করে নিতে পারে না। কারণ বিড়ালের পুরুষাঙ্গের উপর অসংখ্য ছোট ছোট কাঁটা সদৃশ অংশ থাকে।
মিলনের শুরুতে যা সমস্যা না করলেও যোনী থেকে পুরুষাঙ্গ বের করার সময় তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
যার ফলস্বরূপ স্ত্রী বিড়ালের জরায়ু ও যোনিপথ ঐ কাঁটার কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যেতে থাকে। ScienceBee
এই ঘটনায় যন্ত্রণায় কাতর হয়ে করুণ সুরে চিৎকার করে ওঠে স্ত্রী বিড়াল। সেই চিৎকারকেই আমরা মনে করি ‘বিড়ালের কান্না’। তবে মিলনের কিছু পরেই স্ত্রী বিড়ালের বেদনা প্রশমিত হয়ে যায়। ফলে তখন থেমে যায় সেই ‘কান্না’।
এছাড়াও পুরুষ বিড়াল স্ত্রী বিড়ালকে আকর্ষণ করতে করুণ স্বরে ডেকে ওঠে যা আমাদের কাছে কান্নার মত মনে হয়।
অনেক সময় খাবারের অভাবেও বিড়ালের ডাকার শব্দ কান্নার মত লাগে।
সুতরাং বিড়ালের কান্নার সাথে কোনো অমঙ্গল কিছু নেই, পুরোটাই বেঁচে থাকার তাগিদে শারীরবৃত্তীয় লড়াই।
Fauzia Afrin Aurin | Science Bee