বিটকয়েন সহ অন্যসকল ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর পিছনে যে টেকনলজি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেটি হলো ব্লকচেইন টেকনলেজি।
ব্লকচেইন টেকনলেজি :
বিটকয়েন সহ অন্যসকল ক্রিপ্টোকারেন্সির চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি। ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর সবচেয়ে যুগান্তকারী উদ্ভাবন ব্লকচেইন প্রযুক্তিকেই ধরা হয়। আর এই ব্লকচেইন প্রযুক্তিই আমাদের ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
সহজ ভাষায় ব্লকচেইন একধরনের জটিল ডেটাবেইস সিস্টেম, ডেটাসূমহের রেকর্ড যা ক্লাস্টারের মাধমে ম্যানেজ করা হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহারের মাধ্যমে এই ডেটা ব্লক গুলোকে একে অপরের সাথে হ্যাশের মাধ্যমে আবদ্ধ করা হয় যা ডেটাগুলোকে হাই সিকিউরিটি প্রদান করে। ফলে কোন ডেটা ব্লকের হ্যাশ ডিক্রিপ্ট করলে অন্য ব্লকের হ্যাশ গুলো ডিক্রিপ্ট করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর সম্পূর্ণ ব্লক ডিক্রিপ্ট করতে না পারলে ডেটা চুরি করা সম্ভব হয় না। ফলে ডেটা গুলোও সুরক্ষিত থাকে।
ক্রপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর ক্ষেত্রে মাইনারদের কাজ হচ্ছে যেসব ট্রানজাকশন হচ্ছে সেগুলোকে ভেরিফাই করা অর্থাৎ, সকল ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রানজাকশনের আলাদা আলাদা ভেরিয়েবল থাকে আর মাইনারদের কাজ হচ্ছে সেসব খুজে বের করে সত্যতা যাচাই করা। ব্লকচেইন টেকনলেজিতে ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার নিজের মতো করে হিসাব নিকাশ করে থাকে ফলে এই হিসাব নিকাশের সমীকরন এতটাই জটিল যে মাইনারদের অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়।
সমীকরণ সমাধানের পরে এইটি অন্য একটি কম্পিউটারে চলে যায় সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এভাবে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হয়ে একটি চেইনের রুপ নেয় আর প্রতিটি কম্পিউটার এক একটি ব্লক হিসাবে কাজ করে। যখন মাইনার তাদের ট্রানজাকশন সম্পন্ন করতে সফল হয় ফলে তাদের বোনাস স্বরূপ কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি দেওয়া হয়। আর এভাবেই বিটকয়েন সহ অন্যসকল ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর পিছনে ব্লকচেইন টেকনলজি কাজ করে থাকে।
© নিশাত তাসনিম
রেফারেন্স : https://www.forbes.com/advisor/investing/cryptocurrency/what-is-blockchain/