Sorna Akter Soniya
সিজারিয়ান ডেলিভারি রোমান শাসকদের আমলে আবিষ্কার হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বাচ্চাকে পেট কেটে বের করা হয়। মা, বাচ্চা বা উভয়ের জীবন বাঁচাতে এটা অনেক সময় অনেক প্রয়োজনীয়। যেহেতু সিজারে প্রসব যন্ত্রণার ভয় নেই, মৃত্যুর ঝুঁকিও কম সেহেতু এটা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে সিজারে প্রসব করার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। নরমাল ডেলিভারির খরচ অপেক্ষা সিজারের খরচ বেশী হওয়ায় ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি তেমন গুরুত্ব পায় না।
আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গের জন্যে বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকেন। যেমন একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির নাকে থাকে Streptococcus pyogenes, কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া যখন গলায় যায় তখন টনসিল এর কারণ হয়ে যায়।
সিজারে জন্ম নেওয়া বাচ্চার দেহে মায়ের ত্বকের ব্যাকটেরিয়া জায়গা করে নেয় কিন্তু নরমাল ডেলিভারির বাচ্চাদের দেহে জরায়ুর ব্যাকটেরিয়া জায়গা করে নেয়।মায়ের জরায়ু থেকে প্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়া শিশুর immunity system কে চিনতে শেখায় কোন ব্যাকটেরিয়া আমাদের বন্ধু আর কোন টা শত্রু।এই প্রক্রিয়া থেকেই আমাদের immunity system চালু হয় এবং সারাজীবন বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
কিন্তু সিজারে জন্ম নেওয়ার ফলে আমরা যে ব্যাকটেরিয়া পাচ্ছি সেগুলো আসলে শিশুর জন্যে উপযুক্ত না। প্রকৃতি আমাদের যা নির্ধারিত করে দিয়েছে তার থেকে ভিন্ন, আর এই কারণে সিজারে জন্ম নেওয়া শিশুর immunity system চিনতে পারে না কোনটা আমাদের বন্ধু আর কোনটা শত্রু।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে সিজারে জন্ম নেওয়া শিশুদের asthma,allergies,auto immune ডিজিস হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও এসব শিশুদের overweight, obese হওয়ার সম্ভবনা ২০-২৫% বেড়ে যায়।