কেমোথেরাপি মূলত কী কাজ করে ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+13 টি ভোট
324 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (34,670 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

 

ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় কেমোথেরাপি একটি বহুল ব্যবহৃত চিকিৎসা পদ্ধতি।

কেমোথেরাপি এমন এক ধরণের চিকিৎসা যার মাধ্যমে ক্যান্সারের সেলগুলোকে ধ্বংস করা হয় এবং সেগুলোর বিস্তার থামানো হয়।

তবে সব ধরনের ক্যান্সারের জন্য এক ধরণের চিকিৎসা প্রযোজ্য নয়।

বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার সেল বিভিন্ন ধরণের ঔষধে সাড়া দেয়।

কেমোথেরাপির সর্বোচ্চ ভালো ফলাফলের জন্য আট ধরনের ঔষধের সমন্বয়ে ঘটানো হয়।

কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা উন্নত করার জন্য চিকিৎসকরা নতুন ধরণের ঔষধের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করছেন।

অধিকাংশ সময় কেমোথেরাপির কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু আধুনিক কিছু কেমোথেরাপি সামান্য সমস্যা তৈরি করে।

ক্যান্সার সেলের জন্য কেমোথেরাপি হচ্ছে এক ধরণের বিষ।

এতে ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়। এটাকে বলা হয় সাইটোটক্সিক কেমিক্যাল।

তবে মনে রাখা দরকার যে জিনিসটিকে শরীরের ক্যান্সার সেলের জন্য বিষাক্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, সেটি শরীরের সুস্থ-স্বাভাবিক কোষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

কেমোথেরাপি এমন একটি জিনিস যেটি শরীরের ক্ষতিকারক ক্যান্সার কোষগুলোকে যতটা সম্ভব খুঁজে বের করে ধ্বংস করে এবং ভালো কোষগুলোকে যতটা সম্ভব কম ধ্বংস করে।

প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের চিকিৎসায় সার্জারির আগে কেমোথেরাপি দেয়া হয়, যাতে সার্জারি সহজে করা যায়। অনেক সময় সার্জারির পরে থেকে যাওয়া অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষ সম্পূর্ণ নির্মূল করতে কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়।

এই ক্যান্সার নিরাময়ে কেমোথেরাপির প্রয়োগ অনেকটা প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের মতোই। সার্জারির আগে কিংবা পরে, উভয় ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা যায়।

লিউকোমিয়া ক্যান্সারের জন্যও কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয়।

টেস্টিকুলার ক্যান্সার: ক্যান্সার কোষ যদি বেশি ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে প্রথম পর্যায়ে পা রাখার সাথে সাথে কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা আবশ্যক হয়ে ওঠে।    

লিম্ফোমা: এই ক্যান্সারের সূচনা হয় শ্বেত রক্তকণিকাগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির মাধ্যমে, যা দ্বারা একপর্যায়ে লিম্ফোসাইটও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তবে আশার বিষয় হলো, কেমোথেরাপি প্রয়োগের মাধ্যমে রোগটি নিরাময় করা সম্ভব।

কেমোথেরাপির ধরন
সাধারণত চার ধরনের ঔষধ কেমোথেরাপিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলো হলো:

১. অ্যালকাইলেটিং এজেন্ট: এই রাসায়নিক উপাদানটি সরাসরি টিউমারের ওপর ক্রিয়া করে এবং সেটির মাইটোসিস প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। ফলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হতে থাকা কোষটি তার বিভাজন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এগুলো হলো chlorambucil, cyclophosphamide, thiotepa এবং busulfan।

২. অ্যান্টিমেটাবলিটস: এটি কোষের বৃদ্ধি ও সুরক্ষার জন্য অত্যাবশকীয় প্রোটিন তৈরি করে। কিছু পরিচিত অ্যান্টি মেটাবলিটস হলো 5-fluorouracil (5-FU), 6-mercaptopurine (6-MP), cytarabine, capecitabine, fludarabine, gemcitabine, methotrexate, pemetrexed, pentostatin এবং thioguanine।

৩. প্ল্যান্ট অ্যালকালয়েড: এদেরকে মাইটোটিক ইনহিবিটরও বলা হয়। এটি কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। ফলে ক্ষতিকর কোষগুলো আর বেড়ে উঠতে পারে না। এর মধ্যে রয়েছে actinomycin D, doxorubicin এবং mitomycin।

৪. অ্যানথ্রাসাইক্লিন: এটি একধরনের অ্যান্টি-টিউমার অ্যান্টিবায়োটিক, যা DNA এবং RNA এর সংশ্লেষণকে বাঁধা দেয়, যাতে করে কোষগুলো বিভাজিত হতে না পারে৷ তবে অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে এদের পার্থক্য রয়েছে। doxorubicin, mitoxantrone, এবং bleomycin কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অ্যানথ্রাসাইক্লিন।

বিভিন্ন রকমের কেমোথেরাপি
প্রয়োগকাল এবং প্রয়োগের কারণ বিবেচনার ভিত্তিতে ক্যান্সার নির্মূলে বিভিন্ন রকমের কেমোথেরাপি প্রয়োগের প্রয়োজন পড়তে পারে। এদের মধ্যে সাধারণ কয়েকটি কেমোথেরাপি হলো:  

অ্যাডজুভেন্ট কেমোথেরাপি: টিউমার সার্জারির পর ক্যান্সার টিউমারের অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করতে এ থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ক্যান্সার পুনরায় ফেরত আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

নিও-অ্যাডজুভেন্ট কেমোথেরাপি: সার্জারির আগে টিউমারকে সংকুচিত করতে এ থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে টিউমার অপসারণ সহজ হয়ে ওঠে। 

ইনডাকশন কেমোথেরাপি: একিউট লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার উপশম করতে এই থেরাপির প্রয়োজন পড়ে।  

কনসোলিডেশন কেমোথেরাপি: রোগের উপশম যাতে স্থায়িত্ব পায়, সেজন্য এ থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এর অপর নাম ইনটেনসিফিকেশন কেমোথেরাপি।

মেইনটেন্যান্স কেমোথেরাপি: এই থেরাপিরও কাজ রোগের উপশমকে দীর্ঘস্থায়ী করা, তবে এটি অনেক স্বল্পমাত্রায় প্রয়োগ করা হয়। অ্যাকিউট লিম্ফোসাইটিক ও প্রো-লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়ার নিরাময়ে এর প্রয়োগ দেখা যায়। 

ফার্স্ট লাইন কেমোথেরাপি: কোনো ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ও প্রমাণিত থেরাপিকে ঐ ক্যান্সারের ফার্স্ট লাইন থেরাপি বলা হয়। একে স্ট্যান্ডার্ড থেরাপিও বলে।

সেকেন্ড লাইন কেমোথেরাপি: যখন ফার্স্ট লাইন থেরাপির পক্ষে ক্যান্সার কোষকে প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না, তখন পালা আসে সেকেন্ড লাইন থেরাপির। এর আরেক নাম স্যালভ্যাজ থেরাপি। 

প্যালিয়াটিভ কেমোথেরাপি: রোগের উপসর্গগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, সেটি পর্যবেক্ষণ করাই এই থেরাপির কাজ।

©www.bbc.com & roar.media

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+14 টি ভোট
1 উত্তর 817 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
1 উত্তর 229 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 589 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 340 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 219 বার দেখা হয়েছে
31 জানুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Remove id (34,670 পয়েন্ট)

10,809 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

527,435 জন সদস্য

56 জন অনলাইনে রয়েছে
12 জন সদস্য এবং 44 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    1280 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    370 পয়েন্ট

  3. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  4. _Polas

    160 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা মস্তিষ্ক ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...