বার বার কারন ছাড়াই কেন মুড সুইং হয়? [poll] - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
733 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (47,700 পয়েন্ট)
পূনঃট্যাগযুক্ত করেছেন

কোনো রকম কারন ছাড়াই কেন বার বার মুড সুইং হয়?

### no choices found for poll!

2 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

উদ্বিগ্নতা,হতাশা আর হরমোনের জন্য বারবার মুড সুইং হয়।অনেক সময় ঠিকমত ঘুম না হওয়ার জন্যও এইটি হয়ে থাকে।


১| স্ট্রেস বা মানসিক চাপ (Mental Stress)মানসিক চাপ সবারই কমবেশি থাকে।কিন্তু সবাই চাপ নিতে পারে না।অফিস,সংসার, ছেলেমেয়েদের চিন্তা, কেরিয়ার, প্রেম সহ নানা রকমের জটিলতার কারণে স্ট্রেস দেখা দেয়। আর এর থেকেই অনেক সময় মুড সুইং (Mood Swings) হতে পারে।

২| অস্থিরতা বা অ্যাংজাইটি (Anxiety)
অনেকেই আছে যারা খুব অল্পতেই ভয়ানক দুশ্চিন্তা শুরু করে দেয়,সন্দেহ করাও শুরু করতে পারে তখন।এই অতিরিক্ত টেনশনকেই অ্যাংজাইটি বলে। এর থেকেও মুড সুইং হতে পারে।

৩| অবসাদ বা ডিপ্রেশান (Depression)
মনোবিদরা বলছেন মুড সুইংয়ের অন্যতম কারণ হল মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশান। এটাকে মুড সুইং এর অপর পৃষ্ঠা বলা যেতে পারে।হতাশার কারণে যেমন মন খারাপ হয় তেমনি হয় অনেক রাগও

৪| মদ্যপান ও অবৈধ মাদক (Drug or Alcohol)
অনেকেই স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি ও অবসাদ থেকে বাঁচতে মদ্যপান বা অবৈধ মাদকের সাহায্য নেয়। তাঁরা মনে করেন এগুলি তাঁদের সমস্যার সমাধান করবে।আদতে কিন্তু সেটা হয়না। কারণ এগুলি আপনার শরীরে প্রবেশ করলে সাময়িকভাবে এগুলি স্নায়ু উজ্জীবিত করে তোলে। তখন মস্তিষ্ক নানা রকম আকাশ কুসুম কল্পনা করে যাকে হ্যালুসিনেশান বলা হয়। কিন্তু এর প্রভাব কমে গেলেই আবার মুড সুইং হয়। আর বারবার এর সাহায্য নিলে মুড সুইং পাকাপাকিভাবে আপনার সঙ্গী হয়ে যায়।

৫| ঘুমের অভাব (Sleep Deprivation)
অতিরিক্ত কাজ, সাংসারিক সমস্যা বা অন্যান্য যে কোনও কারণে যদি দিনের পর দিন আপনার ঘুম না হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার মুড সুইং হবে।ঘুম না হওয়ার কারণে আপনি ক্লান্ত থাকবেন এবং আপনার স্নায়ুমণ্ডলী ঝিমিয়ে থাকবে। তখন কোনও কিছুই আপনার ভাল লাগবে না এবং ঘন ঘন মুড পরিবর্তন হবে। 

৬| বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত সত্ত্বা (Bipolar Disorder)
বাইপোলার ডিসঅর্ডার  যাঁদের থাকে তাঁদেরও অনবরত মুড সুইং হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যা অন্য জায়গায়। আমরা সাধারণত অবসাদ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি। কিন্তু বাইপোলার ডিসঅর্ডার যাঁদের হয়, তাঁদের একটি ম্যানিক স্থিতি বা ফেজ হয়। তখন এঁরা সাঙ্ঘাতিক এনার্জি পান।আচমকা কোনও প্রতিভার বিকাশ হয়। এঁরা তখন ছবি আঁকতে শুরু করেন, বাড়ি রং করতে শুরু করেন এবং এমন অনেক কিছু করেন যা তাঁরা ‘সুস্থ’ অবস্থায় করেন না। কিন্তু এইসময় তাঁরা ডাক্তারের কাছে যান না। কারণ তাঁরা মনে করেন তাঁরা সুস্থ আছেন।এই জাতীয় মানসিক সমস্যা থেকেও কিন্তু মুড সুইং (Mood Swings) হতে পারে।   

৭| ক্যাফেইন ও চিনি (Caffeine & Too Much Sugar)
আমরা মনে করি কফি আমাদের স্নায়ু উজ্জীবিত করে। সারা দিনে একদু’কাপ কফি ঠিক আছে কিন্তু তার চেয়ে বেশি কফি পান করলে মুড সুইং হতে পারে। কারণ কফিতে থাকে ক্যাফেইন। যা সত্যিই স্নায়ু উজ্জীবিত করে কিন্তু তার প্রভাব বেশিক্ষণ থাকে না। ফলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার মানসিক স্থিতির পরিবর্তন ঘটে।

৮| প্রিমেনস্ত্রুয়াল অবস্থা বা পিরিয়ডসের আগে (Premenstrual Syndrome)
পিরিয়ডের সময় বা এর আগে মেয়েদের ঘনঘন মুড সুইং হয়ে থাকে।

৯| মেনোপজ ও পেরিমেনোপজ (Menopause & Perimenopause)
পিরিয়ডসের আগে যেমন এই সমস্যা দেখা দেয় ঠিক তেমনই মেনোপজ দশা শুরু হলেও মহিলাদের মধ্যে মুড সুইং দেখা দেয়। তবে অনেকে এটি সামলিয়েও  উঠতে পারে। তবে পরামর্শ দেওয়া হয় মেনোপজের পর একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে।

১০| কাজের চাপ (Work Pressure)

চাকরি,ব্যবসা ইত্যাদি কাজের চাপের ফলে সৃষ্ট দুশ্চিন্তা,ঘুমের ব্যাঘাত,অবসাদ ইত্যাদি থেকে মুড সুইং হয়।তার উপর আছে একসাথে সংসার ও টাকা আয়ের চিন্তা!কেরিয়ার নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন বলেই এঁদের মুড সুইং দেখা দেয়।   

১১।বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার-

বিপিডি আছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মুড সুইং অনেক বেশি দ্রুত হয়। আর এটা শুধু খারাপ থাকা এবং ভালো থাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। বিপিডি-তে আক্রান্ত ব্যক্তি মানসিক চাপের সাথে খুব ভালোভাবে অভ্যস্ত হতে পারেন না। ফলে, এমন অবস্থায় হুট করে তারা রেগে যান, আবার রাগ থেকে মন ভালোর দিকে, আবার মন ভালো থেকে কষ্ট কিংবা উদ্বিগ্নতার দিকে চলে যান। অনেকসময় নিজেদের ক্ষতিও করে বসেন তারা।

১২। অ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার-

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলোর কারণ অ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার হতে পারে। আপনি যদি এমনটা বারবার আপনার সাথে হতে দেখেন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন

ছেলেদের মুড সুইং এর কারণ-

https://www.sciencebee.com.bd/qna/5087/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0?show=5087#q5087

মেয়েদের মুড সুইং-

https://www.sciencebee.com.bd/qna/9155/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A1?show=9155#q9155

+1 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
মুড সুইং মানুষের বিশেষ একটি মনস্তাত্ত্বিক পর্যায়। হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই মন-মেজাজ পরিবর্তন হওয়াকে মুড সুইং বলে। যেমন: হাসি-ঠাট্টার মাঝে হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যাওয়া, বিষন্নতায় ভোগা, রেগে যাওয়া। আবার কিছু সময় পর মন ভালো হয়ে যাওয়া, এইসব মুড সুইং এর মধ্যে পড়ে। পুরুষ ও নারী উভয়ের মাঝেই মুড সুইং দেখা যায়, তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের মাঝে মুড সুইং এর মাত্রা বেশি।

মুড সুইং এর কারণ :

আমাদের স্নায়ুকোষ বা নিউরণ থেকে নিঃসৃত এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ হলো নিউরোট্রান্সমিটার। মানবদেহে প্রায় ৪০ ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার আছে, এর মধ্যে দুটি নিউরোট্রান্সমিটার হচ্ছে সেরোটোনিন ও নরপাইনফ্রাইন। সেরোটোনিন এর কাজ হচ্ছে ঘুম, আবেগ, মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যদিকে, নরপাইনফ্রাইন এর কাজ হচ্ছে স্মৃতি, শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করা। এই হরমোনগুলোর তারতম্যের ফলে মুড সুইং দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, অস্থিরতা, ডিপ্রেশন, কাজের চাপ, ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত কফি পান, মাদকাসক্তি, বাইপোলার ডিসঅর্ডার এর ফলে মুড সুইং হতে পারে। সাইন্স বী

নারীদের মুড সুইং :

সাধারণ নারীদের অধিক মুড সুইং এর জন্য হরমোনের তারতম্যকে দায়ী করা হয়। তাছাড়া মাসিক, গর্ভাবস্থাও মুড সুইংকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। মাসিকের সময় বা আগে নারীদের মুড সুইংকে Premenstrual Syndrome বা PMS বলে৷ মূলত মাসিক এর সময় ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন এর প্রভাবে মুড সুইং হয়, মেজাজ খিটখিটে থাকে, সামান্য কারণে রেগে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আবার, গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের ফলে মুড সুইং দেখা দিতে পারে। এই সময় মেডিটেশন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম মুড সুইং অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সাইন্স বী

পুরুষদের মুড সুইং :

পুরুষদের মাঝেও হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য মুড সুইং হয়। একে বলা হয় Irritable Male Syndrome (IMS)। মূলত দিনের বিভিন্ন সময় টেস্টোস্টেরন নামক হরমোনের তারতম্য পুরুষদের আচরণে প্রচুর প্রভাব ফেলে৷ টেস্টোস্টেরনের পাশাপাশি মেয়েদের মতো ছেলেদেরও ইস্ট্রোজেন আছে। ছেলেদের এই ইস্ট্রোজেন হরমোন এর মাত্রা যত বেশি বাড়ে তত বেশি মুড সুইং, বিরক্তি অনুভব হয়। তাছাড়া বয়স বৃদ্ধি, মানসিক চাপ, শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা, খাদ্যাভ্যাস, ওজনের পরিবর্তন, ঘুমের অভাব ইত্যাদি টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ ও মুড সুইং এ ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

মুড সুইং কাটিয়ে তুলার জন্য মেডিটেশনের অভ্যাস করতে হবে, দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় অতিরিক্ত পান করা যাবেনা, প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে, খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার রাখতে হবে, বন্ধু বা পরিবারের সাথে সময় কাটাতে হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 693 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,468 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
3 টি উত্তর 683 বার দেখা হয়েছে
29 ডিসেম্বর 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ahnaf Tahmid (5,090 পয়েন্ট)
+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 3,553 বার দেখা হয়েছে
17 অক্টোবর 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন M M Hossain Raghib (900 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 5,729 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

271,716 জন সদস্য

47 জন অনলাইনে রয়েছে
5 জন সদস্য এবং 42 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...