'জিনোম সিকোয়েন্সিং' বলতে গবেষনাগারে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন একটি জীবের জিনোমে বিদ্যমান ডি,এন,এ (অথবা কিছু ভাইরাসের ক্ষেত্রে আর,এন,এ)-র সম্পূর্ণ ক্রম নির্ধারণ করাকে বোঝায়। অর্থাৎ, ডি,এন,এ (অথবা আর,এন,এ)-তে বিদ্যমান চার ধরণের বেইস যথাক্রমে, এ্যা ডেনিন (A), থাইমিন (T), গুয়ানিন (G) এবং সাইটোসিন (C) (অথবা আর,এন,এ-এর ক্ষেত্রে ইউরাসিল (U)-এর ক্রম নির্ধারণ করাকেই বোঝায়। আর 'জিনোম' হলো একটি জীবে বিদ্যমান সকল জিনসহ ডি,এন,এ (অথবা কিছু ভাইরাসের ক্ষেত্রে আর,এন,এ)-র সম্পূর্ণ সেট, যা ঐ জীবের উৎপত্তি, বেঁচে থাকা এবং বংশগতি রক্ষার জন্য অপরিহার্য। জার্মানীর হ্যামবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানী'র অধ্যাপক হ্যান্স উইঙ্কলার ১৯২০ সালে সর্বপ্রথম এই 'জিনোম' শব্দটি ব্যবহার করেন। জিনোমে লুকিয়ে থাকে জীবনের অজানা সব রহস্য অর্থাৎ, একটি জীবের উদ্ভব বা বিবর্তন হলো কিভাবে, কিই বা তার পরিচয়, তার বৈশিষ্ট্য কি, কিভাবে সে বেড়ে উঠেছে আর বৈরী এবং প্রতিকূল পরিবেশেই বা নিজেকে খাপ খাওয়ায় কিভাবে এবং সর্বোপরী বংশপরম্পরায় সে নিজেকে কিভাবে টিকিয়ে রাখে। এ সব প্রশ্নের উত্তর-ই পাওয়া যায় যদি জানা যায় তার জিনোম, উন্মোচন করা যায় এই রহস্যের জট। আর তাইতো গুগল ট্রান্সলেট-এর পরিভাষায় 'জিনোম সিকোয়েন্সিং'-এর বাংলা মানে দাঁড়িয়েছে 'জীবনরহস্য'।