ট্যাটু আঁকা হয়!
মানুষের ত্বকের দ্বিতীয় স্তরে কালি বসিয়ে ট্যাটু অংকন করা হয়। ট্যাটু ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন শেডের রং। আর ট্যাটু আঁকার জন্য ব্যবহূত হয় নানা মাপের সুচ। হাতে কলম ধরার মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মাথায় তীক্ষ্ম সুচ লাগানো থাকে। এই সুচের মাথা বারবার বিভিন্ন শেডের রঙের কৌটায় ডুবিয়ে শরীরে উল্কি আঁকা হয়। তার আগে যিনি আঁকছেন তার পছন্দের ট্যাটুর নকশার ছবিটি সেটে নেওয়া হয় শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে। ট্যাটু আঁকার কাজটি করতে হয় খুব সাবধানে। একটু এদিক-সেদিক হলেই মূল নকশা আর ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় না। ট্যাটু আঁকতে যে রংই ব্যবহার করা হোক না কেন সেটি যাতে চামড়ার মধ্যে নিখুঁতভাবে বসে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। চট্টগ্রাম ট্যাটু হান্টার স্টুডিওর ট্যাটু শিল্পী রায়হান মাহমুদ জিফান জানালেন, অনেকেই শরীরে ট্যাটু আঁকতে পছন্দ করেন। কিন্তু এ বিষয়ে জানাশোনার অভাবে পিছিয়ে যান। শরীরের চামড়া ফুটিয়ে ট্যাটু করা হয় বলে ভয়ও পান। ট্যাটু আঁকতে প্রথমে একটু ব্যথা লাগে। কারণ তাতে চামড়া কাটার মতো একটা ব্যাপার ঘটে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। যারা সুচের খোঁচা সহ্য করতে পারেন না তাদের জন্য বিশেষ ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এতে ওই জায়গাটিতে আর ব্যথা লাগে না। এ ছাড়া স্থায়ী ট্যাটুর পাশাপাশি অস্থায়ী ট্যাটুও এঁকে নেওয়ার সুযোগ আছে। তুলিতে কালি লাগিয়ে অস্থায়ী এয়ারব্রাশ ট্যাটু এঁকে নেওয়া যায়। অস্থায়ী ট্যাটু নির্দিষ্ট সময়ের পর এমনিতেই উঠে যায়।